নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশালে বাবুগঞ্জে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় নিলুফা ইয়াসমিন নামের এক সাবেক ইউপি সদস্য ও মহিলা আওয়ামী লীগের এক সভানেত্রীকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছেন চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার নিলুফা ইয়াসমিন সাবেক ইউপি সদস্য ও দেহেরগতি ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেহেরগতি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড রাকুদিয়া গ্রামের আব্দুল জব্বার, হালিম হাওলাদার ও নিপু হাওলাদার দেশের বিভিন্নস্থানে ডাকাতি-ধর্ষণসহ নানা অপকর্ম করে বেড়ায়। তাদের এসব অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এসব কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় সাবেক ইউপি সদস্য ও দেহেরগতি ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নিলুফা ইয়াসমিন। এর জের ধরেই রবিবার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নিলুফা ইয়াসমিনের উপর নির্মম নির্যাতন চালায় ওই সন্ত্রাসী বাহিনী। এতে তিনি মারাত্বকভাবে আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নিলুফা ইয়াসমিন জানান, আমি একজন সমাজ সচেতন মানুষ, দীর্ঘদিন মহিলা মেম্বার ছিলাম, আমি চাই আমার এলাকা যেন ভালো থাকে, এখানে যেন কোন চোর-ডাকাত-ধর্ষক না থাকে, সবাই যেন ভালোভাবে বসবাস করে আর সেই চাওয়াটাই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার ছেলে রাজু কয়দিন পরে বিদেশ যাবে, কোন ঝামেলার মধ্যে নাই সে, কিন্তু হঠাৎ আমাদের বাড়ির সামনে আমার ছেলের সাথে উচ্চবাক্য শুরু করে জব্বার, তার ভাই হালিম ও ছেলে নিপু। বিষয়টি দেখে আমি এগিয়ে গেলে আমাকেও গালাগাল দেয়া শুরু করে। আমি এ সব বন্ধ করতে বললেই মাটিতে ফেলে আমার গলায় পারা দিয়ে মারতে থাকে আমাকে, যা আমি কল্পনাও করতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, আমার উপর যারা নির্যাতন চালিয়েছে তারা বিভিন্ন ডাকাতি, ধর্ষণ, হত্যাসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি, র্যাব-৮ এর অধিনায়ক ও জেলা পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের কাছে এ সব সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মন্ডল জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।