১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
নাজিরপুরে পাশাপাশি খোঁড়া হচ্ছে একই পরিবারের সেই ৪ জনের কবর ভোলায় পূজা মন্ডপের গেট ভাঙচুরের সময় হিন্দু যুবক আটক রায়পুরায় পূজামণ্ডপের প্যান্ডেল ভাঙচুর নিয়ে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়ায় সরকারী খাল দখলমুক্ত করতে দু-পক্ষের হামলা, আহত-৫ ঝালকাঠিতে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক বরগুনায় ধ*র্ষ*ণ প্রতিরোধক জুতা আবিষ্কার করলো স্কুলছাত্র দুমকিতে ছাত্র ব*লাৎকা*রের অভিযোগে প্রাইভেট শিক্ষক আটক বরিশালে পূজা মণ্ডপ পাহারা দিচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা স্কুল-কলেজের শিক্ষার মতো মাদ্রাসা শিক্ষাকেও কর্মমুখী করতে হবে: স্বপন মুলাদীতে পুকুরে গোসলে নেমে প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

বিসিসি থেকে বেতন নেন সাবেক মেয়রের বাসার কাজের লোক

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

অনলাইন ডেস্ক ::: কাজ করতেন মেয়রের বাসায়। অথচ বেতন নিচ্ছেন সিটি করপোরেশন থেকে। আবার নামে কর্মচারী হলেও দায়িত্ব ছিল রাজনীতির মাঠে জনবলের জোগান দেওয়া। তার ওপর নেই নিয়োগের বৈধতা। বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) এমন ৪২ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীর তালিকা করেছে নগর প্রশাসন। যাদের চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে মানা হয়নি নিয়মনীতি। শুধু মেয়রদের কাছের লোক হওয়াই ছিল তাদের যোগ্যতা।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত এসব কর্মচারী চাকরি হারাতে পারেন যে কোনো সময়। এমনটাই জানিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী। যদিও গত ১০ সেপ্টেম্বর মেয়রের দপ্তরের ১৬ কর্মচারীকে এরই মধ্যে ছাঁটাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নগর ভবনের নির্ভরযোগ্য সূত্র।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলী বলেন, ‘চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। কিন্তু বরিশাল সিটি করপোরেশনে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগে সেই নিয়মগুলো অনুসরণ করা হয়নি।

তিনি বলেন, ‘প্রথমত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ শূন্য পদের বিপরীতে হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চুক্তির মেয়াদ থাকতে হবে। কিন্তু বরিশাল সিটি করপোরেশনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনোটাই মানা হয়নি। বিশেষ করে সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ যাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে গেছেন, তাদের কারোরই চুক্তির মেয়াদ নেই। পুরোটাই অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আবার সদ্য সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ একইভাবে নিয়োগ দিয়ে গেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই মেয়রের বাসায় দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ৫ আগস্টের পর তারা কেউ কর্মস্থলে আসেননি।

নগর প্রশাসক বলেন, ‘অনিয়মতান্ত্রিকভাবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন আমরা এমন ৪২ জনের একটি তালিকা করেছি। তাদের মধ্যে কয়েকজন আছেন যারা শূন্যপদের বিপরীতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন; কিন্তু তাদের চুক্তির মেয়াদ উল্লেখ নেই। তবে তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শিগগির তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার।

নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, ‘মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মেয়র থাকা অবস্থায় তার অনুসারী ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। যারা প্রতি মাসে নগর ভবন থেকে মোটা অঙ্কের মজুরি নিয়েছেন।

একইভাবে সদ্য সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ তার অনুসারী বেশ কয়েকজনকে সিটি করপোরেশনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেন। যারা নাগরিক সেবায় কাজে না এলেও দায়িত্ব পালন করেছেন মেয়রের বাসায়। খোকন সেরনিয়াবাতের স্ত্রী লুনা আবদুল্লাহর ব্যক্তিগত সহকারী থেকে শুরু করে কাজের লোকদের বেতনও দেওয়া হতো নগর ভবন থেকে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে নগর প্রশাসন।

সর্বশেষ