মির্জা আহসান হাবিব ঃ পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল পর পর বেশ কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন। তারই মূল্যান ১১ নভেম্বর ২০২০ খ্রিঃ বরিশাল রেঞ্জ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা- অক্টোবর ২০২০খ্রিঃ সভায় বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম(বার), পিপিএম শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীগণদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন। ছ’টি পুরস্কারের মধ্যে দু’টি পুরস্কারই পটুয়াখালী জেলা পুলিশ (মামলার ক্রাইমসিন এবং সাক্ষ্য প্রমাণ সংরক্ষন ও ডিজিটালাইজেশন সংক্রান্তে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান, পিপিএম এবং মামলা তদন্তে বিশেষ পুরস্কার মোঃ হুমায়ন কবির, পুলিশ পরিদর্শক-তদন্ত, গলাচিপা থানা) লাভ করেন। বলা প্রাসঙ্গিক যে, মামলা তদন্তের পুরস্কারটি গলাচিপার একটি ট্রিপল মার্ডার সংক্রান্তে যা বর্তমান পুলিশ সুপারের অত্র জেলায় যোগদানের প্রায় ছয় মাস পূর্বে সংঘঠিত হয়। মামলাটির গুরুত্ব অনুধাবন করে তিনি অপরাধস্থল পরিদর্শন, তৎসংলগ্ন এলাকায় অপরাধ সভা করতঃ দীর্ঘকাল ব্যাপী হাল না ছেড়ে বরঞ্চ গভীর ও নিবিড় তদারকীর মাধ্যমে আগস্ট ২০২০ মাসে মূল ও একমাত্র হোতা ঢাকার সাভার থেকে গ্রেফতারসহ ভিকটিমের মোবাইল উদ্ধার করা হয়।উদঘাটিত হয় মূল রহস্য যা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় সবিস্তরে উঠে আসে।বিশেষ স্মর্তব্য যে, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কর্তৃক এ যাবৎ অপরাধ সভা গুলোতে সর্বোচ্চ সংখ্যক পুরস্কার ” টীম পটুয়াখালী জেলা পুলিশ” অর্জন করেন।এজন্য পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার সংশ্লিষ্ট গর্বিত সদস্যগণকে অভিনন্দন জানান।
কোন কিছুর স্বীকৃতি অর্জন মানে দায়িত্ব ও কর্তব্য অধিকতর বেড়ে যাওয়া, অধিকতর অসাধারণ পারফর্ম্যান্স প্রদর্শন করা। শ্রেষ্ঠত্বের এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য পুলিশ সুপার জেলা পুলিশ পটুয়াখালীর সকলকে মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
