লিপন সরকার: একটি ব্রীজের অভাবে সিরাজগঞ্জে তাড়াশ উপজেলার একটি গ্রামের সাতটি পাড়ার জনসাধারণ পোহাচ্ছেন চরম দুর্ভোগ। এদিকে বর্সার পানি চলে আসায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে সেচ্ছায় বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। চলনবিল অধ্যাষিুত হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের পাশে তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া খানপাড়া গ্রামটিতে প্রায় ৫ হাজার কৃষক পরিবারের বসবাস। কিন্তু সড়কের সাথে গ্রামটির যোগাযোগ আটকে আছে একটি ব্রীজ না থাকার কারণে।
স্থানীয়রা জানান, স্বাধীনতার ৪৯বছরেও হামকুড়িয়া গ্রামে একটি ব্রীজ হয়নি। তাই বছরের পর বছর গ্রামবাসী উদ্দ্যেগে নিজেদের অর্থে সাকো নিমার্ন করা হয়। হামকুড়িয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক জহুরুল ইসলাম জানান, বর্ষাকালে নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরী করা হলেও বৃদ্ধ, শিশু আর রোগী নিয়ে চলাচল খুবই ঝুকিপূর্ণ। নৌ পথে কৃষিপন্য পরিবহনেও রয়েছে নানা ভোগান্তি। এ বছরও নিজেদের অর্থে সেচ্ছাশ্রমে শাকো নির্মান করা হয়েছে। হামকুড়িয়া গ্রামটি গ্রামটি ৭টি পাড়া গঠিত। বর্ষা মৌসুমে এ গ্রামের মানুষ ঝুকি নিয়ে বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে নদী পার হচ্ছেন।
স্থানীয় কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, বর্ষাকালে কৃষক, চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ীসহ গ্রামের স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে নদী পার হয়। যদি কোনো শিশুর পা সাঁকো থেকে সরে যায় তাহলেই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
এ বিষয়ে মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আতিকুল ইসলাম বুলবুল জানান, দীর্ঘদিন যাবত ওই গ্রামের মানুষ বর্ষাকালে খুব কস্টে চলাফেরা করেন। এবছরও তারা সেচ্ছায় নিজেদের অর্থে শাকো তৈরি করেছেন।