ইয়াছিনুল ইমন, ব্যুরো চীফ, ভোলা।
ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নে তেঁতুলিয়া নদীর অভ্যাহত ভাঙনে অর্ধশত বসতবাড়ী, ফসলী জমি, ভেদুরিয়া গ্যাস ফিল্ড, স্কুল, মডেল মসজিদ ও মাদ্রাসা হুমকির মুখে মুখে পড়েছে। এসব এলাকায় দীর্ঘসময় ধরে নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলেও সংশ্লিষ্টরা উদাসীন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়, উজান থেকে আসা পানির চাপ অন্যদিকে নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তলনের কারনে নদীর তীরবর্তী গ্রামে বেড়েছে ভাঙনের তীব্রতা।নদী ভাঙনে ভিটে-মাটি ও ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েগেছে শতাধিক পরিবার। দ্রুত সময়ের মধ্যে বালুর বস্তা অথবা সিসি ব্লক ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ভেদুরিয়া ইউ,পি চেয়ারম্যান তাজল ইসলাম বলেন, স্থানীয় এমপি ও সাবেক বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ ভেদুরিয়া-ভেলুমিয়া ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তেঁতুলিয়া নদীর অব্যাহত ভাঙনে অনেক পরিবার ঘর-বাড়ী হাড়িয়েছেন। ঝুঁকিতে আছে ভেদুরিয়া গ্যাস ফিল্ড, নির্মাণাধীন টেক্সটাইল ইন্সিটিউট, মডেল মসজিদ, স্কুল-কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসা। দ্রুত জিও ব্যাগ অথবা সিসি ব্লক দিয়ে ভাঙনরোধ করার তিনি দাবী জানান। স্থানীয় ইউ,পি সদস্য খলিলুর রহমান নলী বলেন, দীর্ঘ দশ বছর পর্যন্ত নদী ভাঙনে প্রায় একহাজার পরিবার আমার ওয়ার্ড থেকে ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। গত এক মাসে দুইশতাধিক পরিবারও বসতভিটি ও ফসলী জমি হাড়িয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এখন আমাদের শেষ ভরষা সাবেক সফল বানিজ্যমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি তোফায়েল আহাম্মেদ অতি দ্রুত নদী ভাঙন রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। ইউ,পি সদস্য আবুল বাশার বলেন, ভেদুরিয়া গ্যাসফিল্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষা করতে দ্রুত নদী ভাঙনরোধে পদক্ষেপ গ্রহন করা খুবই জরুরী। ভোলা-১ পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহামুদ বলেন, চলতি অর্থ বছরে ঐ এলাকার ভাঙন প্রতিরোধের জন্য ডিজাইন করে বাজেট প্রস্তাবনা জমা দেওয়া আছে। অর্থ বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে