৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
মৃত্যুর প্রথম রাত কেমন হবে ! নৌকা প্রতিকের মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন এস এম শাহজাদা পিরোজপুর-৩ আসনে লাঙ্গল পেলেন না ৪ বারের এমপি, হবেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বরিশালে বন্ধ করে দেয়া হলো দোকানে পাম্প বসিয়ে তেল বিক্রি অবরোধ সফল ও হরতাল পালন করতে বরিশাল মহানগর বিএনপি মশাল মিছিল বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন প্যানেল চেয়ারম্যান ১ আলহাজ... পটুয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল বরিশালের ছয় আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ৪৭ প্রার্থী বরিশালে অটোপাসের আশ্বাসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মিছিলে প্রধান শিক্ষক! বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন প্যানেল

ভোটার কম, তাই উমেদপুর গ্রামবাসীর কপালে জোটেনি পাকা রাস্তা !

স্টাফ রিপোর্টার:
গ্রামের নামে ইউনিয়ন অথচ সেই গ্রামে নেই কোন রাস্তা-ঘাট, এমন কি ভাল কাঁচা রাস্তাও। গ্রামবাসী বর্ষাকালে কাঁদা-পানি পাড়ি দিয়ে যাতায়ত করতেন। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন বা কোন ধরনের সরকারী বরাদ্ধ কখনো জোটেনি গ্রামবাসীর কপালে। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের উমেদপুর ছিল এমনই একটি গ্রাম। গ্রামটিতে ভোটার মাত্র চার’শ। কম লোকসংখ্যার কারণেই হয়তো সেখানকার বসতিদের কপালে জোটেনি কোন পাকা রাস্তা। জনপ্রতিনিধিদের কাছেও থেকেছে উপেক্ষিত। যুগ থেকে যুগান্তর পার হয়ে গেলেও সেখানকার কৃষক, শ্রমজীবি, খেঁটে খাওয়া মানুষগুলোর যাতায়ত-চলাচলের জন্য হয়নি কোন পাকা রাস্তা। এমনকি ছিল না ভাল কাঁচা রাস্তাও। এমন অবহেলিত অবস্থা দেখে ব্যাক্তি উদ্যোগে নয় লাখ টাকা খরচ করে গ্রামবাসীর জন্য রাস্তা করে দিলেন নিয়ামুল করিম টিপু নামে এক দানশীল ব্যাক্তি। তিনি দেশের মিকা ফার্মা কেয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার বাড়িও উমেদপুর গ্রামে। গ্রামবাসী জানান, প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা এখন পাকা হওয়ায় তাদের যাতায়াত সমস্যা মিটে গেছে। গ্রামটির বয়োজোষ্ঠরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নিয়ামুল করিম টিপুর মাটি ফাউন্ডেশনের প্রতি। গ্রামবাসী খুশি হয়ে টিপুর প্রো-পিতামহ হাফেজ আব্দুল করিমের নামে সড়কটির নামকরণ করেছেন। শুক্রবার বিকালে রাস্তাটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে নিয়ামুল করিম টিপু জানান, ছোট কাল থেকেই দেখে আসছি গ্রামের রাস্তাটির বেহালদশা। কিন্ত সামর্থ না থাকাই কিছু করতে পারেননি। এখন স্বাবলম্বী হওয়ায় গ্রামবাসির জন্য রাস্তাটি করে দিলাম। গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান ও মোজাব্বার আলী সাদি জানান, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের কাছে বছরের পর বছর ধর্ণা দিয়েও তারা কথা রাখেননি। অথচ ভোটের সময় তারা কত মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এদিকে ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান সাবদার হোসেন মোল্লা তার নিজ ইউনিয়নে ব্যক্তি উদ্যোগে এমন রাস্তা নির্মানের কথা জানেন না। তিনি বলেন, গ্রামটির রাস্তাটি নির্মান হওয়া সম্পর্কে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। অথচ তিনি ওই ইউনিয়নের একাধিকবার নির্বাচিত আওয়ামীলীগের আউপি চেয়ারম্যান। তার ছেলে শামীম হোসেন মোল্লাও ছিলেন উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ