মেডিকেল প্রতিনিধি : ভোলায় যৌতুকের টাকার জন্য পাষন্ড স্বামীর নির্যাতনে স্বীকার হয়ে গৃহবধূ মোসাঃ মারজানা বেগম (২০) শেবাচিমে ভর্তি হয়েছে। স্বামী মোঃ লিটন ওরফে মিজানের অত্যাচার সইতে না পেরে নিজেই আত্মহত্যার করা চেষ্টা করে। পরে সন্ত্রাসী স্বামী শশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি শেবাচিমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
গত মঙ্গলবার (৩১আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় নিজ বাবার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত গৃহবধূ ওই থানার ৬ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মোসলেম মল্লিকের মেয়ে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় নির্যাতনে করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত সূত্রে জানা যায়, গত দেড় বছর পূর্বে দোলত খাঁ থানার দিদার উল্লাহ গ্রামের চানকাজী হাওলাদার বাড়ির মৃত মুসা হাওলাদারের ছেলে লম্পট লিটনের সাথে সামাজিক বিবাহ হয় মারজানার। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবি করে সামান্যতম বিষয় নিয়ে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। বিয়ের কিছু দিন পরে মারজানাকে ঢাকার বাসায় নিয়ে একাধিক বার মারধর করে। ঘটনার দিন বাবার বাড়িতে বসেও মারধর করে।
স্বামীর এমন নির্মম অত্যাচার সইতে না পেরে লজ্জায় আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে ঘরের দরজা ভেঙে স্থানীয়দের সহায়তায় তার ভাই হাসান ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেবাচিমে রের্ফার করে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎকরা। বর্তমানে আহত গৃহবধূ মারজানা বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এ বিষয়ে গৃহবধূ মারজানা বলেন, আমার পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি শ্বশুর,শাশুড়ি ও স্বামীর অনেক নির্যাতন সহ্য করেছি। তারা আমাকে যৌতুকের টাকার জন্য বিভিন্ন সময় বাসার রুম বন্ধ করে শারীরিক নির্যাতন করে। আমি আর তাদের নির্যাতন সইতে করতে পারছিনা। তাই আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম ।
এ ব্যাপারে আহতের স্বামী লিটনের মোবাইল ০১৭৪৫…….৯৬৮ নম্বরে কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে ভোলা থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলেও আহতের ভাই হাসান আরো জানান।