২রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

ভোলায় ছাত্রলীগ সভাপতির শাস্তি চাইলেন বোন

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ভোলায় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম চৌধুরী পাপনের বিরুদ্ধে পরিবারের সম্পত্তি আত্মসাৎ, হামলা, মারধর করা, জাল ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে বোনকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগ সভাপতির একমাত্র ছোট বোন পাপিয়া চৌধুরী এই অভিযোগ করেন।

এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০১৬ সালে পিতা মারা যাওয়ার পর ওয়ারিশ হন মা, তিনি ও ভাই পাপন। কিন্তু পাপন ক্ষমতা দেখিয়ে তাকে বাদ দিয়ে ওয়ারিস নামা বানিয়ে সম্পত্তি বিক্রি ও নামজারি করে। এর প্রতিবাদ করলে পাপন নিজে ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদেও নিয়ে পাপিয়া ও তার স্বামী মো. মাজেদুর রহমানের ওপর হামলা করে। তাদের মারধর করে। বর্তমানে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। গোপনে ভোলা পৌর সভা থেকে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ করে সব সম্পত্তি নিজের নামে নেয়ার চেষ্টা করে। তাই বাবার সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি পাষণ্ড ভাইয়ের নির্যাতনের বিচার দাবি করেন।

এসময় তিনি বলেন, ওয়ারিশ সনদে আমার নাম বাদ দেওয়ার বিষয়টি আমি ভোলা-১, সাংসদ তোফায়েল আহমেদেকে জানাই। তার নির্দেশ মোতাবেক জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ আমার সম্পত্তি গত ৩০ অক্টোবর আমার নামে নামজারি করে দেয়া হয়।

এ সংবাদ শুনে পাপন চৌধুরী আমার শহরের কালীবাড়ি রোড বাসায় গিয়ে লোকজন নিয়ে আমাকে মারধর করে এবং ৫৫হাজার টাকা, গলার ১ ভরির চেইন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। আমার স্বামীসহ পরিবারের সকলকে হুমকি দিয়ে আসে। এঘটনায় আমি ভোলা সদর থানায় মামলা করি। মামলা নং জিআর ৬৪৬/ ১।

পাপিয়া আরও বলেন- দীর্ঘ তিন বছর ধরে পাপন চৌধুরী আমার ওপর অনেক অত্যাচার নির্যাতন করছে। যা মায়ের অনুরোধে কাউকে জানাতে পারিনাই। সে এখন আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে যাতে আমি আমার সম্পত্তিতে না যাই।এতে আমি, স্বামী একমাত্র শিশু সন্তান সাফওয়ানকে নিয়ে আতংকের মধ্যে আছি। ক্ষমতার অপব্যববহারকারী এধরনের লোককে দল থেকে বহিস্কার করে শাস্তির আওতায় আনার জন্য সাংসদ তোফায়েল আহমেদের মাধ্যমে প্রধামন্ত্রীর কাছে আবেদনও জানান পাপিয়া চৌধুরী।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাপিয়া স্বামী মো: মাজেদু রহমান প্রমুখ।

এবিষয়ে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন মামলার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি পারিবারিক ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চলছে।

ভোলা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাইনুল ইসলাম শামীম বলেন, পৌরসভা থেকে কোন ভুয়া ওয়ারিশ সনদ দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনককে জানানো হয়েছে।

এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ভোলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম চৌধুরী পাপন বলেন- আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন। আমি আমার বোনের কিংবা পরিপারের কোন জমি আত্মসাত কিংবা বিক্রি করিনি। এমনকি ওয়ারিশ সনদে বাদও দেইনি। রাজনৈতিক কারণে আমার বোনকে ব্যবহার করে একটি গ্রুপ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।’

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ