২৭শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বাবুগঞ্জে ইউএনও'র সেচ্ছাচারিতায় জনপ্রতিনিধিদের অসন্তোষ ! বর্ণিল আয়োজনে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে স্বাধীনতা দিবস পালন রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে ৫৩তম মহান স্বাধীনতা দিবসে বর্নিল আয়োজন লন্ডনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মল কমিটির উদ্যোগে গণহত্যা দিবস পালিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত নগরীর কাশিপুরে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে মারধর  পটুয়াখালীতে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী কল্যান সোসাইটির উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসে আলোচনা সভা বাবুগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গৃহবধূকে মারধর  মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে পিরোজপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিল যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস পালিত

ভোলায় জীবিত গাছ মরা দেখিয়ে কাটার চেষ্টা

ভোলা প্রতিনিধি :: ভোলায় টেন্ডার ছাড়াই কাটা হচ্ছে সদর উপজেলা পরিষদের গাছ। সরকারি গাছ হওয়ায় এগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে কাটার কথা থাকলেও উপজেলা পরিষদের অফিস সহকারী মো. মাহফুজের নির্দেশে গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে।

গত শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদের নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর পাশ থেকে একটি রেইনট্রি গাছ অফিস সহকারী মাহফুজ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে শ্রমিক দিয়ে কাটাচ্ছেন। তিনি বলেন, উপরের নির্দেশেই গাছ কাটা হচ্ছে। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি গাছ কাটা বন্ধ করে দেন। তবে মাহফুজ এসময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মামুন আল ফারুক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেখান। সেখানে জীবিত গাছগুলোকে মরা, ঝড়ে উপরে পড়া ও বিনষ্টযোগ্য দেখানো হয়।

এর আগেও উপজেলা পরিষদ চত্বরের বিভিন্ন জায়গা থেকে মেহেগুনি, আকাশমণি, রেইনট্রিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৩০টি গাছ টেন্ডার ছাড়াই কেটে ফেলা হয়। অভিযোগ রয়েছে, সেই সব গাছের বেশিরভাগই অফিস সহকারী মাহফুজ নিয়ে গেছেন।

জানা যায়, গত বছরের আগস্ট মাসে ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের সীমানা প্রাচীর, ড্রেন ও অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ সুযোগে পরিষদের ভিতরের গাছগুলো কেটে ফেলা হয়। যদিও সরকারি নিয়মে কোনো কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে জীবিত গাছ কাটার প্রয়োজন হলে স্থানীয় সরকার বিভাগের পূর্ব-অনুমতি নেওয়ার কথা রয়েছে।

এব্যাপারে অভিযুক্ত মাহফুজ বলেন, উপজেলা পরিষদের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য গাছ কাটার প্রয়োজন হওয়ায় জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। সেটি এখনও অনুমোদন হয়নি। তাই আমরা গাছের ডাল-পালা কেটেছি। আগের কেটে ফেলা গাছগুলোও রেখে দেওয়া হয়েছে।

সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন বলেন, উপজেলার গাছ কাটার ব্যাপারে আমার কিছুই জানা ছিল না। আমি জানার পর সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ কাটার জন্য বলে দিয়েছি। এখানে কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলে সরকারি নিয়ম অনুসরণ করে গাছ কাটা হবে। আগের কাটা গাছগুলোও নিলামে বিক্রি করা হবে।’’

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ