পিরোজপুর প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তাছলিমা বেগম (৩৮) নামে এক গৃহবধুকে ওড়না পেচিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ওই গৃহবধু গত দুই দিন ধরে উপজেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোমবার (২০ জুলাই) উপজেলার হোগলপাতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা আহত তাছলিমা বেগম মঙ্গলবার রাতে তার ভাসুর সামসুল হক ঘরামীকে প্রধান আসামী করে নামীয় ৩জন ও আরও অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। শামসুল হক ঘরামী হোগলপাতি গ্রামের মৃত. মুজাহার ঘরামীর ছেলে। আহত তাছলিমা বেগম ওই গ্রামের নূরুল হক ঘরামীর স্ত্রী।
আহত ওই গৃহবধুর মেয়ে মহিমা জানান, তার বড় চাচা সামসুল হক ঘরামী সাথে পারিবারিক দ্বন্দ চলে আসছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাত আটটার দিকে মা বাড়িতে একা থাকার সুযোগে চাচা শামসু ঘরামী, ও চাচাতো ভাই ফয়সাল ঘরামী ও মিরাজ ঘরামীসহ একদল সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্রসহ তার মায়ের ওপর হামলা চালিয়ে বিব¯্র করে শ্লীলতাহানী করে। এসময় তার (তাছলিমা বেগম) গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় সে চিৎকার করলে সন্ত্রাসীরা তার গলার চেইন, একটি কানের দুল ও ঘরে থাকা ৭০ হাজার ৫শ টাকা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আহত তাসলিমা বেগম মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন আছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মাসুদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
