মোঃ গোলাম সরোয়ার মঞ্জু:
পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যালয় দখলের পরিকল্পনায় বিএনপি নেতার ভাইয়ের ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।
ভবন মালিক মির্জাগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইদ্রীস হাওলাদার এর বড় ভাই মোঃ সামছুল আলম হাওলাদারের সাথে সরজমিনে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের অফিস সরকারি জমির উপর এবং আমাদের ক্রয় করা জমির অনেকটাই সরকার একর করে নিয়েছে। তারপরও ছাত্রলীগ অফিসের মধ্যে আমার আরও জমি পাবো।
এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম জুয়েল সিকদার জানান, মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ অফিসের মধ্যে সামছুল আলমের কিছু জমি আছে। তাই আমি তাদেরকে বলছি আপনারা ভবন কাজ করেন আমাদের অফিসের যতটুকু ছাড়তে হবে আমি ততটুকু ভেঙে সরিয়ে দেবো।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ রাকিব মৃধার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার সভাপতির বক্তব্যের সুরে সুর মিলিয়ে হুবহু বক্তব্য দেন।
পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হাসান শিকদার বলেন ” এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই তবে এ ব্যাপারে আমি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের সাথে কথা বলে সাংবাদিকদের অবহিত করবো এবং যদি আমার উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ জমি দখল বা কোন অনিয়মের সাথে জড়িত থাকে তাহলে আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো। এছাড়াও এ ঘটনা তাকে জানানোর জন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুক ভুঁইয়া বলেন, এ ব্যাপারে আমার কিছু যানা নেই তবে এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। তিনি বলেন যেহেতু উপজেলার অভিভাবক তারা সেহেতু তারাই ব্যবস্থা নিবে৷
এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে রাজনৈতিক প্রভাবের কবলে পড়ার ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কিছু লোকজন বলেন, কি বলবো চোখ আছে দেখি – আর কান আছে শুনি তারপর মনের ভিতর সব কথা চেপে রাখি। আসলে এখানে বড় ধরনের একটা নাটক ও আর্থিক বানিজ্য চলমান। কখনও এ-গ্রুপ আবার কখনও সে-গ্রুপ। সত্যি কথা বলতে জমি দখলের পায়তারা।