সেলিম শিকদার,সিরাজগঞ্জঃ-
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বর্ষনের ফলে উত্তর জনপদের ব্রম্যপুত্র,তীস্তা,ধরলা,ঘাগট, কুশিয়ারা সহ সবকটি নদ-নদীর পানি ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধির সাথে সাথে যমুনা নদীর পাণি ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এতেকরে সিরাজগঞ্জ,কাজিপুর, বেলকুচি,চৌহালী,শাহজাদপুর উপজেলার নদীতীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউপির পাঁচঠাকুরি, শৈলাবাড়ি,জিয়ামোড়,সদরে গুনেরগাতি,রানিগ্রাম,ধানবান্ধী,মতিসাহেবের ঘাট,আনারস ঘাট, পুঠিয়াবাড়ি,মোল্লাপাড়া, ৩ নং চায়না বাধঁ, চর-মালশাপাড়া,বিয়ারা, মোড়গ্রাম,ছাতিয়ানতলি সহ আশপাশে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাবে বন্যা দেখা দেয়ায় অত্রাঞ্চলের মানুষেরা পাণিবন্ধি হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এসকল স্থানের পানিবন্ধি বানভাসি মানুষেরা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে, নিম্নআয়ের অসহায় দরিদ্র মানুষেরা মানবেতর জীনব পার করছে।
বন্যার পানিতে অনেক বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্কুল- কলেজে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে, আবার অনেক পরিবারের লোকেরা নদীতীর রক্ষাবাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। এদের মোধ্যে অনেকেই গৃহপালিত গবাদিপশু পাখি নিয়ে খাদ্য সংকটে পড়েছে।
পানিবৃদ্ধির সাথে সাথে খোকশাবাড়ী ইউপির নতুন ওয়াবদা সড়কটি হুমকির মুখে,
যে কোন মুহুর্তেই বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পাড়ে বলে অনেকে মনে করছেন।
উক্ত সড়কের তলদেশ দিয়ে পানি প্রবাহের সুরুঙ্গ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্লাষ্টিকের পলিব্যাগে বালি বোঝাই করে সুরঙ্গ দিয়ে পাণি প্রবেশে প্রতিরোধ ও মেরামতের চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উক্ত বাধঁ এলাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পওর) কর্তৃপক্ষকে স্বার্বক্ষনিক ভাবে হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার জোরদাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বন্যা কবলিত এসকল স্থানগুলোতে ত্রান সহায়তা,খাবার স্যালাইন ও পানিবাহিত রোগের ঔষধ সরবরাহ জরুরি হয়ে পড়েছে।
