২২শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বরিশালে ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে সাংবাদিকের আ*ত্ম*হ*ত্যা নলছিটিতে ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবীতে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ। একযুগ পর বিএনপি নেতা জিয়া আমিন রাড়ীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন- নেতাকর্মীদের ঢল তেঁতুল খেলে কি শরীরের রক্ত পানি হয়ে যায়? জানুন আসল ঘটনা যেসব মডেলের ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রেমের ফাঁদে ফেলে মাদ্রাসাছাত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদন সারা বিশ্বে ১৬ বিলিয়ন পাসওয়ার্ড ফাঁস, উদ্বেগ সাইবার বিশেষজ্ঞদের আমি তো শাশুড়ি হয়ে গেছি: অভিনেত্রী শ্রাবন্তী সোমবার দুই ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা সচিবালয় কর্মচারীদের

যুক্তরাজ্যে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন বাংলাদেশী চিকিৎসক ডা. শরিফুল হালিম

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাণী ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের রয়েল কলেজ অফ ফিজিসিয়ানের মেম্বারশিপ (এমআরসিপি) পার্ট-১ পরীক্ষার ফলাফলে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ডিএমসি) সাবেক শিক্ষার্থী ডা. শরিফুল হালিম। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে এমআরসিপির প্রকাশিত ফলাফলে তিনি ৯৯৯ এর মধ্যে ৯৩০ মার্ক পেয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ মে) রাতে বিষয়টি ডা. শরিফুল হালিম নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সারা বিশ্বের চিকিৎসকদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ একটি ডিগ্রি হলো যুক্তরাজ্যের এমআরসিপি। প্রতিবছর এ ডিগ্রি নিতে সারা বিশ্ব থেকে চিকিৎসকরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এই পরীক্ষার পাস নম্বর ৫৪০। সারা বিশ্বের অনেক চিকিৎসকই এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন না। তবে যারা উত্তীর্ণ হন, তাদের বেশিরভাগের প্রাপ্ত নম্বর থাকে ৬০০-৮০০ এর ঘরে। তবে এ বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৯৩০ নম্বর পেয়ে বিশ্ব রেকর্ড করেছেন ডা. শরিফুল হালিম। সেইসঙ্গে এই নম্বর এমআরসিপিতে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এটি সারা বিশ্বের নবীন চিকিৎসকদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা এবং বাংলাদেশের জন্য গৌরবের একটি অর্জন।
ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর ডা. শরিফুল হালিম আনন্দ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্, গত কয়েকদিনের টেনশন শেষ হলো। এমআরসিপি পার্ট ১ পাশ করলাম। আর ৯৩০/৯৯৯ পাওয়া একটা বিশাল ভাগ্য। আশা করি, এটা ওয়ার্ল্ড এ এই ডায়েট এর একটা টপ স্কোর। এই ফলাফলের জন্য সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ যে পাবে, তিনি আমার স্ত্রী তাজরিয়া শরিফ। তাঁর সহযোগীতা না পেলে এই পরীক্ষা দেওয়াই হত না। আমি জীবনসঙ্গী বেছে নিতে ভুল করিনি। তোমার বিশাল বড় একটা ট্রিট বাকি আছে। এভাবেই সবসময় আমার পাশে থেকো।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার দুই মেয়েকে ঈদে সময় দেইনি। মামণি, তোমাদেরকে অনেক আদর। আমার বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ীকে ধন্যবাদ, সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। আমার শাশুড়ী সবসময় বাচ্চারকে আগলে না রাখলে আমাদের পোস্ট গ্রাজুয়েশন করাই হতো না।’
ডা. শরিফুল হালিম আরও লিখেন, ‘আমার কার্ডিওলজির মেন্টর, আমার আইডল, আমার ইন্সপাইরেশন আব্দুল মোমেন স্যারকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না। স্যার, আমাকে সবসময় আপনার ছায়ার নিচে রাখবেন। আমার ইউনিটের আশরাফ-উর রহমান তমাল, তমাল পিটার, বাশার আদনান, আব্দুল মালেক, তানিয়া ইয়াসমিন ইভা, ফাইজুল হাফিজ চৌধুরী সবাইকে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ জানাই, আমার সকল শিক্ষার্থীকে যারা আমাকে সবসময় সাহস দিয়েছেন।’
ডা. শরিফুল হালিমের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়ায়। তিনি কেন্দুয়ার ঐতিহ্যবাহী বেখৈরহাটী এন কে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ময়মনসিংহের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইসিভিডি) ফেজ-বিতে রেসিডেন্ট (কার্ডিওলজি) হিসেবে অধ্যয়নরত আছেন। সেইসঙ্গে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাও। তাঁর বাবা আব্দুল হালিম স্কুল শিক্ষক ও মা আসমা আক্তার গৃহিনী। ডা. শরিফুল হালিম ব্যক্তিগত জীবনে দুই কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রীও একজন চিকিৎসক।

সর্বশেষ