সেলিম শিকদার, সিরাজগঞ্জঃ- উল্লাপাড়ার মাঝিপাড়ায় যৌতুকের দাবি পূরণ করতে না পারায় পারভীন খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে পাষণ্ড স্বামির বিরুদ্ধে ।
গৃহবধুর স্বামী নাঈম হোসেন তার স্ত্রীকে নির্যাতন করে হত্যার চেষ্টা করলে প্রতিবেশীদের প্রতিরোধের মুখে স্ত্রী পারভীন প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। পারভীন বানিয়াকৈড় গ্রামের মৃত গোলবার হোসেনের মেয়ে।
সুত্রে জানাযায়, পারভীনের ২ বছর বয়সে পিতার মৃত্যু হওয়ায় পারভীনের মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়। চাচা সোলায়মান হোসেন পারভীনকে প্রতিপালন করে প্রায় ৩ বছর আগে বাঙ্গালা ইউনিয়নের মাঝিপাড়া গ্রামের হাসান আলীর ছেলে এবং খালাতো ভাই নাঈম হোসেনের সাথে বিবাহ দেন। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগদ ১ লাখ টাকা ও ৮ আনা ওজনের সোনার গহনা দেওয়া হয় তার স্বামীকে। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তার লোভাতুর স্বামী ও স্বামীর পরিবার পারভীন খাতুনের পিতার রেখে যাওয়া
কিছু পরিমান জমি অতিরিক্ত যৌতুক হিসেবে স্বামীর নামে জমি লিখে দিতে চাপ সৃষ্টি করেন। এতে পারভীনের পরিবার থেকে আপত্তি তোলায় মাঝে মাঝেই স্ত্রীকে অমানুষিক নিযার্তন করতো স্বামী নাঈম হোসেন। এনিয়ে দাম্পত্য জীবনে তাদের মধ্যে চরম কলহ চলে আসছিল।
পরবর্তিতে নাঈম হোসেন তাদের দাবিকৃত জমির পরিবর্তে নগদ ১ লাখ টাকা বাড়তি যৌতুক হিসেবে পারভীন খাতুনের পরিবারের কাছে দাবি করেন। পারভীনের পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে নাঈম হোসেন শুক্রবার সকালে তার স্ত্রী পারভীন খাতুনকে বেধরক মারপিট করে এবং একপর্যায়ে ধারালো ছুড়ি দিয়ে জবাই করার চেষ্টা করে। এসময় পারভীন খাতুনের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এগিয়ে এলে নাঈম পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে ভর্তিকরে। বর্তমানে পারভীন খাতুন হাসপাতালে চিকৎসাধীন রয়েছেন।
গত (২৯ মে) শুক্রবার এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূ পারভীনের চাচা সোলায়মান হোসেন বাদি হয়ে- উল্লাপাড়া থানায় নাঈম হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক আশরাফী খাতুন নিযার্তিত পারভীনের পক্ষ থেকে অভিযোগপত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।