২৪শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নানা কর্মসূচি ঝালকাঠির ডিসির গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কা, কারাগারে চালক পটুয়াখালীতে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২ বরিশালে রমজানের প্রথম দিনে নিত্যপণ্যের বাজারে উত্তাপ মঠবাড়িয়ার অপহৃতা কিশোরীকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব : অপহরণকারী যুবক গ্রেপ্তার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে আমতলীতে ১৩৮টি প্রথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ পায়রা নদীর ভাঙ্গন থেকে আমতলীকে রক্ষায় ৭৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রকল্পের উদ্বোধন কলাপাড়ায় জেলেদের চাল নিয়ে ইউপি মেম্বারদের চালবাজি স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সাথে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ বাকেরগঞ্জে ট্রাফিক পুলিশকে ঘুস দিতে গিয়ে বিপাকে অটোচালক, ভিডিও ভাইরাল

রাজাপুরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে যাযাবর জীবনযাপন করছে টিটু!

অনলাইন ডেস্ক :: ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাকরাইল গ্রামের মৃত. মো. শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে টিটু হাওলাদারের পৈতৃক সম্পত্তি থাকতেও অর্থাভাবে বসতঘর তৈরি করতে না পারায় স্ত্রী ও স্কুলপড়ুয়া পুত্রকে নিয়ে যাযাবর জীবনযাপন করছেন। স্থানীয়দের সহায়তায় কোনো রকম টিনের বেড়া দিয়ে ও পলিথিনের ছাউনির ঘরটুকুও ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

টিটু হাওলাদার বলেন, সাত বছর বয়সে মা মারা যান। তখন আমরা তিন ভাই-বোন। ছোট অবস্থায় মা মারা যাওয়ায় মামাদের মাধ্যমে ঝালকাঠিতে বসবাস শুরু করি। ঝালকাঠি শহরতলির বিকনা এলাকায় (বাসন্ডা ব্রিজের পূর্বঢালে) একটি ঘরে থাকতাম। বোনের বিবাহ হওয়ায় সে শ্বশুরবাড়িতে আছেন। বড় ভাই কয়েক বছর আগে নিহত হয়েছেন।

 

তিনি বলেন, ওই এলাকায় টিনের ঘরে ৩০০ টাকা ভাড়ায় একটি ঘরে স্ত্রী ও স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। পুঁজি না থাকায় অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে সক্ষম না হওয়ায় ওই কক্ষেরই একপাশে স্ত্রীকে চায়ের দোকান দিতে হয়েছে। দু’জনের কষ্ট ও পরিশ্রমে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে সন্তানের পড়ালেখা চালিয়ে নিজেদের দু’বেলা দু’মুঠো ভাত জোগাড় করাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।

‘পৈতৃক ভিটায়ও বসবাসের উপযোগী ঘর না থাকায় সেখানে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। পলিথিনের ছাউনিটুকুও ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন রোদ, বৃষ্টি, বন্যা হলে কোনোভাবেই বসবাস করা সম্ভব হচ্ছে না।’

টিটুর স্ত্রী শামিমা সুলতানা বলেন, সাকরাইল গ্রামে আমার শ্বশুরবাড়িতে জমি থাকলেও মানুষ হিসেবে বসবাসে কোনো উপায় নেই। রোদ, বৃষ্টি, বন্যা, বাতাস সবই মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। একমাত্র পুত্রকে নিয়ে এত কষ্টে জীবনযাপন করতে হচ্ছে তা ভাষায় বোঝাতে পারছি না। যদি সরকারিভাবে একটি ঘর পাওয়া যেত, তাহলে আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হতো।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির সিকদার বলেন, মৃত শাহজাহান হাওলাদারের জমি থাকলেও সেখানে নেই কোনো বসবাস উপযোগী ঘর। অর্থাভাবে তুলতে পারছে না ঘরও। আমরা স্থানীয়দের সহায়তায় সুপারি গাছ ও পলিথিনের ছাউনিতে বসবাসের ব্যবস্থা করছিলাম। ইয়াসে তাও নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, অমানবিকভাবে তাদের এখন মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। আমরা পারি সরকারি সহায়তায় খাদ্য উপাদান দিতে, কিন্তু কাউকে তো ঘর করে দিতে পারি না। সরকারি বরাদ্দে জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের মাধ্যমে যদি একটি ঘর টিটুকে দেয়া হয় তাহলে তার দুঃখ-কষ্ট লাঘব হবে।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ