১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

‘রূপকথা’কে নিয়েই রূপমের স্বপ্ন…

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

এ আল মামুন, বিনোদন প্রতিবেদকঃ ১৪ জানুয়ারি জন্ম নেয়া এই মেয়েটির নাম রূপম। গ্রামের বাড়ি তার শরীয়তপুরের জাজিজরাতে। মজিবুর রহমান ও শুকুর জাহান দম্পতির আদরের মেয়ে রূপম। পড়াশুনা করেছেন গ্রামেরই স্কুলে। একসময় বুকে অজানা স্বপ্নকে লালন করে পড়াশুনা শুরু করেন রাজধানীর গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে টেক্সটাইল বিষয়ে। শেষ করেন অনার্স ও মাস্টার্স। ২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন চাকুরীজীবী মারুফকে। তাদের ঘরে এখন দুই সন্তান অরণ্য ও আরাভ। জাজিরার সেই রূপম একসময় চাকুরী শুরু করেন রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস’রএ স্মাইল গার্ডেন স্কুলে। কিন্তু গেলো ফেব্রুয়ারি মাস অর্থাৎ বিয়ের মাসটি ছিলো তার জীবনের জন্য একটি অন্যরকম দিন। রূপম নিজে উপটান তৈরী করে নিজেই ব্যবহার করতেন। একসময় তার ত্বকের মসৃণতা দেখে তার কাছের মানুষেরা প্রশ্ন করেন, তার ত্বকের মসৃণতা নিয়ে। রূপম বেশ অনায়াসেই স্বীকার করেন তার নিজের তৈরী উপটানের কথা। চেনা জানা সবাই তার কাছে সেই উপটান চাইতে শুরু করেন। কিন্তু যারা নিয়মিত চাওয়া শুরু করেন তারাই মূলত তাকে অর্থের বিনিময়ে তা নিতে আগ্রহী হয়ে উঠেন। যে কারণে গেলো ফেব্রুয়ারিতে রূপম নিজেই উপটান বিক্রির উদ্দেশ্যে নিজে শ্রম দিয়ে তৈরী শুরু করলেন। তার তৈরী পণ্য সম্পর্কে সবাই যেন খুব সহজে অবগত হতে পারেন সে কারণে তিনি তার তৈরী পণ্যের নাম নিজেই রাখলেন ‘রূপকথা’। এই নামে ফেসবুকে একটি পেজও আছে। করোনার কারণে মাঝে উপটান তৈরী’তে কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও এখন আবার রূপম উপটান তৈরীতে মনোযোগী হয়ে উঠেছেন। এখন শুধুই উপটান নয় এর পাশাপাশি তিনি হেয়ার প্যাক’ও তৈরী করছেন। দুটো আইটেম’র প্রত্যেকটির মূল্য রাখা হচ্ছে তিনশত’ টাকা। দিন দিন রূপমের ‘রূপকথা’ যেন অনেক বেশি সাড়া পাচ্ছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে রূপমের তৈরী’কৃত উপটান এখন দেশের বাইরেও রপ্তানী হচ্ছে। খুউব অল্প সময়ে এমন সাফল্যে ভীষণ উচ্ছসিত রূপম। রূপম বলেন,‘ এতোটা সাড়া পাবো ভাবিনি। আমার বড় বোন ঝরনা আপু, শিল্পী আপু, রীণা আপু, রুমা আপু আমাকে সবসময়ই অনুপ্রেরণা দিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি আমার বন্ধু বান্ধব যারা আছেন এবং শুভাকাঙ্খী যারা আছেন তারাও আমাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। যে কারণে আমি আমার কাজে ধারাবাহিকতা রেখেছি। সবচেয়ে বড় কথা হলো আমার স্বামী মারুফও আমাকে খুব সহযোগিতা করছেন এবং অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন। আমার দুই সন্তান আমাকে সহযোগিতা করেন। মূলকথা পরিবারের সহযোগিতা পাচ্ছি বলেই রূপকথা’কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি। ভবিষ্যতে কী হয় জানিনা, তবে অনেকের মতো আমিও রূপকথা’কে নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন দেখি।’ একজন রূপম’র রূপকথাকে ঘিরে মনের ভেতর থাকা স্বপ্ন পূরণ হোক, এমনটাই প্রত্যাশা থাকলো।

সর্বশেষ