জাহিদ হাসান,মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি:
পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে মাদারীপুরের শিবচরে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পদ্মা সেতু এক্সপ্রেস হাইওয়ের একটি সেতুর পিলারের সাথে রোগীবাহি দ্রুতগতির একটি এ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এ্যাম্বুলেন্সটি মহাসড়কের এক প্রান্ত থেকে উড়ে গিয়ে অপর প্রান্তের খাদে পড়ে ঘটনাস্থলেই রোগীসহ ২ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর প্রেরন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার দুপুরে বরিশালের উজিরপুর থেকে অসুস্থ্য খাদিজা বেগমকে নিয়ে একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে তার পরিবার ঢাকা যাচ্ছিল। এ্যাম্বুলেন্সটি এক্সপ্রেস হাইওয়ের মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কেশবপুর এলাকায় আসলে এক পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার এক প্রান্ত থেকে ছিটকে অপর প্রান্তের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই খাদিজা বেগম (৬৫) ও তার ভাইয়ের ছেলে মেহেদী হাসান (১৭) নিহত হয়। খবর পেয়ে পাঁচ্চর হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহতাবস্থায় শেফালী বেগম (৪৫), সোহাগ (৩০), পলাশ (২৫) ও এ্যাম্বুলেন্স চালক আবুল বাশারকে (৪০) উদ্ধার করে পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে প্রেরন করে। নিহত খাদিজা বেগম বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বাবরখানা গ্রামের আনোয়ার তালুকদারের স্ত্রী ও মেহেদী হাসান নিহত খাদিজার ভাই একই উপজেলার জালালউদ্দিনের ছেলে।
হাইওয়ে থানার ওসি সোহরাব আহমেদ মজুমদার বলেন, এ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই জন নিহত হয় ও চালকসহ ৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশংকাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে প্রেরন করা হয়েছে। এ্যাম্বুলেন্সটি ক্রেনের সাহায্যে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
