নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি-ঘরে হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা প্রত্যাহার এবং গ্র্রেপ্তার ঝুমন দাসের মুক্তির দাবিতে বরিশালে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী বরিশাল জেলা সংসদ ওই প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশের আয়োজন করে।
বুধবার বেলা ১১টায় নগরীর সদর রোডে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এই প্রতবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদী সসাংস্কৃতিক সমাবেশে উদীচী শিল্পীকর্মীরা গেয়ে চলে ‘শেখ মুজিবের সোনার বাংলায়, মুক্তিযোদ্ধার রূপসী বাংলায় শাল্লাতে লুটপাট হইলো, হিন্দুর বাড়ি ভাঙচুর হইলো, আমার সোনার বাংলার এ কি হাল হইলো, স্বাধীন বাংলাদেশের এ কি হাল হইলো। আরশির সামনে একা একা দাঁড়িয়ে যদি ভাবি কোটি জনতার মুখ দেখবো, হয় না, হয় না, হয় না। কে বলেছে হয় না, এসো এই মঞ্চে উদীচী এমনই এক আয়না। আজ দিকে দিকে ফিঁসফাস ষড়যন্ত্রের কথা শুনতে পাই, ঘাতকের কালো থাবা কেড়ে নিতে শতপ্রাণ উদ্যত, এভাবে তো চলতে পারে না, এসো আঘাতে আঘাতে করি চুর্ণ-বিচুর্ণ। এমন প্রতিবাদী গানের ফাঁকে ফাঁকে চলে ঘটনার প্রতিবাদ এবং ডিজিটা নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার ঝুমন দাসের মুক্তি দাবিতে বক্তব্য।
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী বরিশাল জেলা সংসদেরর সভাপতি সাইফুর রহমান মিরণের সভাপতিত্বে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মানবেন্দ্র বটব্যাল, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট বিশ^নাথ দাস মুনশী, বাংলাদেশ গ্রæপ থিয়েটার ফেডারেশানের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শুভঙ্কর চক্রবর্তী, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সদস্য সচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলুু, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক স্নেহাংশু বিশ্বাস, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বরিশাল জেলার সভাপতি রাহুল দাস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, তৎকালীন হেফাজত নেতা মামুনুল হকের উশকানীতে সিলেটের সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো হিন্দু পরিবারে সদস্য ঝুমন দাসকে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময়ে হিন্দু বাড়িতে হামলা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ৫২ আসামীর জামিন হলেও অজ্ঞাত কারণে ঝুমন দাসের জামিন হয়নি। এমনকি তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেনি পুলিশ। ঝুমন দাসের পরিবার অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করছে। দ্রত ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। একই সঙ্গে বক্তারা সারা দেশে গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের কারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন।