নিজস্ব প্রতিবেদক : চরফ্যাসন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডস্থ চরফকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কৃষি আঃ আলী মামুনের বিরুদ্ধে ভূয়া ডিপ্লোমা সনদ দিয়ে চাকরির অভিযোগ উঠেছে। ওই এলাকার স্কুলের সাবেক ও অধ্যায়নরত ছাত্র ও স্থানীয়রা আঃ আলী মামুনের বিচার দাবী করে চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেছেন। এই নিয়ে কয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইনে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেইসব প্রতিবেদন শত শত মানুষ তার ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করেছেন। এতে বিভিন্ন পেশার মানুষ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত মন্তব্যগুলো তুলে ধরা হল :
শামসুদ্দিন গিয়াস : হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের কৃতি সন্তান। সংযুক্ত আবর আমিরাত প্রবাসী তিনি। তিনি বলেন,”এটি একটি নিন্দনীয় কাজ। শিক্ষকতার মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হউক। ”
এম আমির হোসেন : চরফ্যাসনের সিনিয়র সাংবাদিক,চরফ্যাসন সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের চরফ্যাসন দক্ষিণ প্রতিনিধি। তিনি লিখেছেন,” তদন্ত পূর্বক অভিযুক্ত বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের উদ্যোগে নিতে হবে। ”
আবদুস সাত্তার : লালমোহন প্রেসক্লাবের সভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিক ও উপকূল বার্তার সম্পাদক প্রকাশক তিনি। তিনি বলেন, ” ভুয়া সাটিফিকেট দিয়ে যারা চাকরি করে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। ”
আদিত্য জাহিদ :বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম চরফ্যাসন উপজেলা শাখার সভাপতি,আমাদের সময়ের চরফ্যাসন প্রতিনিধি। তিনি লিখেছেন, ” আঃ আলীর খুটির জোর কোথায়? ভুয়া সনদ দিয়ে চাকরি করে সরকারী টাকা আত্নসাত করে যাচ্ছেন দিনের পর দিন। ”
নুরুল্লাহ ভুইয়া: বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামে চরফ্যাসন উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তিনি। লিখেছেন , ” ভুয়া সনদ দিয়ে চাকরি করার কারণে আজ ছাত্র – ছাত্রীর শ্রদ্ধা পাচ্ছে না তারা। এদের বিচার দাবি করছি।
সাংবাদিক এ আর সোয়েব চৌধুরী লিখেন, “বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হোক। ”
Habibur Rahman লিখেন, ” এতো অন্যায় আর এতো অভিযোগ থাকার পরেও প্রশাসন নিশ্চুপ। এসব দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ায় জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানাই। ”
রাকিব বলেন, ব্যবস্থা নেওয়ার
জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। ”
আলাউদ্দিন আল মামুন বলেন,” এদের মতো মানুষের কারণে দেশ জাতি কলংকিত, এদের বিচার হওয়া দরকার। ”
সুমন শাহ: আঃ আলী মামুন শিক্ষক হয় কিভাবে? নেই কোন যোগ্যতা, চরিত্র সমস্যা আরও কত কিছু।
আবদুল আজিজ : জাহানপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা, তরুন মেধাবী ব্যবসায়ী তিনি লিখেছেন, ” ভুয়া ডিপ্লোমা সনদ দিয়ে চাকরিকারী আঃ আলীর আরেক ছোট ভাই মকসুদ জীবনে কোন দিন সাইন্সে পড়েনি। অথচ ভুয়া সনদ দিয়ে বনে গেছে সহকারী শিক্ষক গণিত! ওমরাবাজ লুৎফুননেসা মহিলা মাদ্রাসায় কর্মরত থেকে নিচ্ছেন নিয়মিত সরকারী বেতন ভাতা ও আমরা এর বিচার চাই। ”
হাদু হাওলাদার নামক চরফকিরার একজন লিখেছেন, একজন বখাটে শিক্ষক হয় কিভাবে?
এস আই মামুন লিখেছেন,” তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হউক।”