বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:: পটুয়াখালীর বাউফলে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের অনীহা ও অবহেলায় মো. আরাফাত(৮) নামের এক ছাত্র মৃত্যুবরণ করেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের কাশিপুর
গ্রামে। নিহত আরাফাতের পিতার নাম মো: হাচান প্যাদা।
জানা গেছে- আরাফাত গত মঙ্গলবার ঢাকার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন এবং আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাকে পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হয়।
নিহতের স্বজনরা জানায়, গত রবিবার বিকেলের দিকে আরাফাত মাদরাসার সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় পড়ে গিয়ে মাথায় প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হয়। আরাফাতের আহত পাওয়ার বিষয়টি আমলে না নিয়ে উপরন্তু আরাফাতের বিষয়ে আরো তিরস্কার ও অনীহা দেখান কাশিপুর আল ইয়াসিন শিশু সদন এতিমখানা ও মারকাযুল নুর ইয়াসিন হাফিজিয়া মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মো. জিকিরউল্লাহ(৫০)।
ঘটনার একদিন পরে আরাফাতের শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে সোমবার সকালে বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় আরাফাত। পোষ্টমর্টেম শেষে বৃহস্পতিবার সকালে আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের সিদ্দিক বাজার এলাকায় পারিবারিক কবরন্থানে আরাফাতের দাফন কার্য সম্পাদন করা হয়। এ ঘটনায় ওই মাদরাসার শিক্ষার্থী অভিভাবক এবং স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে মো. জিকিরউল্লাহ বলেন, সিড়ির রেলিং না থাকায় পা ফসকে নিচে পড়ে যায় বাচ্চাটা। তেমন কোনো অসুবিধা না হওয়ায় আমরা মাগরিবের নামাজ পড়তে যাই। রাতেও বাচ্চাটাকে সুস্থ অবস্থায় দেখছি। সকালে যখন সে তাঁর মায়ের
সাথে যায় তখনও সে সুস্থ ছিলো। রেলিং বিহীন এমন ঝুঁকিপূর্ন ভবনে শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা কিভাবে করলেন এবং আহত হওয়ার পরেও কেন ওই শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলো না জানতে চাইলে এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ আমরা এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’