গাইবান্ধায় প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইলের মাধ্যমে জালিয়াতি চক্রের ৩৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ সময় ২৪টি মাস্টার কার্ড, ২০টি ব্লুথ এবং ১৭টি মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ব্যাংকের চেক উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত (পরীক্ষা চলাকালে) বিভিন্ন পরিক্ষা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক আরাফাত ইসলাম এক প্রেস কনফারেন্সে এসব তথ্য জানান।
র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক জানান, ৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় র্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে একটি জালিয়াতি চক্র ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বন করে গাইবান্ধা জেলা শহরের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে।
পরে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করে জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা-৫ জন ও ৩২ জন পরীক্ষার্থীকে তাদের ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং মোবাইল ফোনসহ পরীক্ষার হলরুম হতে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত পরীক্ষার্থী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং মোবাইলের মাধ্যমে সুকৌশলে পরীক্ষা দিয়ে আসছিল। মারুফ, মুন্না সোহেল, নজরুল ও সোহাগ বিভিন্ন পরীক্ষার্থীকে ১৪-১৮ লক্ষ টাকায় চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে আসছিল। সোহেল ডিভাইস সংগ্রহ ও বিতরণ করেন, নজরুল পরীক্ষার্থী সংগ্রহ করতেন এবং মারুফ ও মুন্না বাহির থেকে প্রশ্নপত্র সমাধান করে পরীক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করেন।
র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক আরাফাত ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরীক্ষার্থীরা জালিয়াতি চক্রের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত জালিয়াতি চক্রের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।