২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
মেহেন্দিগঞ্জে ঝাল মুড়ি ব্যবসায়ীকে মারধর ।। আগৈলঝাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন বাবা, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছেলে রাজাপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এইচএসসি পরিক্ষার্থী নিহত বরিশাল থেকে দ্বিতীয় দফায় ভারত যাচ্ছে ১০ টন ইলিশ মির্জাগঞ্জে অভিযোগের পাহাড় তবুও বহাল তবিয়তে হিসাবরক্ষক তালতলীতে বাঁশ চালান দিয়ে চোর সাব্যস্ত, কিশোরের আত্মহত্যার চেষ্টা দশমিনায় জানালার গ্রিল কেটে স্বর্ণালংকারসহ নগদ টাকা চুরি রাঙ্গাবালীতে ব্যাগভর্তি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার ঝালকাঠিতে গাছের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় রোগীসহ আহত ৭ দেশের মানুষ আজ ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে : শিরিন

শিক্ষার্থীর অভাবে ৮ বছর যাবত সরকারি বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ

সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ১৪৫নং বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভাবে ৮ বছর যাবত পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষক তেঁতুলিয়া নদী পার হয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর ও গল্প করে চলে যান দিন। বছরের পর বছর এভাবেই চলে আসছে।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্পের (হাওর, বাওর ও চরাঞ্চলে শিক্ষা বঞ্চিত এলাকায় ১৫০০ বিদ্যালয়) আওতায় দশমিনার চরবোরহান, চরশাহজালাল, চরহাদী ও চর বাঁশবাড়িয়ার মোট ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। জাতীয়করণ, প্রধান শিক্ষকসহ ৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পর ১৪৫নং চরবাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। ২০১২ সালে চর বাঁশবাড়িয়ায় দেশের সর্ববৃহৎ বীজ বর্ধন খামার প্রতিষ্ঠিত হয়। বীজ বর্ধন খামারের জন্য চরের ১ হাজার ৪৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। জমি অধিগ্রহণের কারণে চর বাঁশবাড়িয়ার মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে মূল ভূখ-ে ফিরে যান। এতে এলাকাটি শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে পড়ে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক মো. এনায়েত করিম, মো. মোশারফ হোসেন ও মো. ইয়াছিন দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু বিদ্যালয়টিতে একজন ছাত্র-ছাত্রীও নেই। তবুও প্রতি বছর বিদ্যালয়ে মেরামতসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৫ মার্চ সাবেক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন বিদ্যালয়টির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবহিত করেন। অন্যদিকে, পটুয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাইয়াদুজ্জামান বিদ্যালয়টি প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে লিখিত অবহিত করেন । কিন্তু কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ৬ সেপ্টেম্বর পুনরায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর বিদ্যালয়টির প্রয়োজন নেই জানিয়ে লিখিতভাবে অবহিত করেন।
এ বিষয়ে ১৪৫নং বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, তেঁতুলিয়া নদী পথে যাতায়াতের কোনো মাধ্যম না থাকায় বিদ্যালয়টিতে কোনো শিক্ষার্থী নেই।
দশমিনা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী না থাকার বিষয়টি বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ