১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে বরিশালে চলছে ধোঁয়া মোছার কাজ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

অনলাইন ডেস্ক :: আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেনী কক্ষে পাঠদান শুরু হচ্ছে। প্রায় ১৭ মাস বন্ধ থাকার পর বরিশালে স্ব-স্ব বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পাঠদানের উপযোগি করতে চলছে ধোঁয়া মোছার কাজ।

নগরীসহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গত তিনদিন থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেহাল অবস্থা। দীর্ঘদিন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অভাবে শ্রেনী কক্ষ ও বেঞ্চে জমেছে ধুলার আস্তর। কোন কোন বিদ্যালয়ের দেয়ালে নোনা ধরে খসে পরেছে প্লাস্টার। বদ্ধ ক্লাসরুমে হয়েছে ব্যাঙ, টিকটিকি ও পোকা মাকড়ের আস্তানা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৌচাগার পরিত্যক্ত অবস্থায় পৌঁছে গেছে। খেলার মাঠে বেড়ে উঠেছে বড় বড় ঘাস। ঘুনে ধরেছে আসবাবপত্র।

শিক্ষকরা এগুলোকে তুচ্ছ সমস্যা উল্লেখ করে বলেন, এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রতিজন শিক্ষার্থীর সু-স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশ মাধ্যমিক প্রধানশিক্ষক ফোরামের গৌরনদী উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ মুজিবুর রহমান তালুকদার, আগৈলঝাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতিন সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ বলেন, বর্তমানে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘রিওপেনিং’ (পুনরায় ক্লাস চালু করা) পরিকল্পনা তৈরি করেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এছাড়া করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও এনিয়ে বেশকিছু সুপারিশ দিয়েছে। এসব নির্দেশনা মেনে প্রায় ১৭ মাস বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম শুরুর ক্ষেত্রে অনেকটাই চ্যালেঞ্জের মুখে পরতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সরকারী নির্দেশনা শতভাগ বাস্তবায়ন করার জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছেন।

নগরীর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক পাপিয়া জেসমিন বলেন, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর নির্দেশনা মোতাবেক ক্লাসে পাঠদান কার্যক্রম শুরুর সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি সর্বপ্রথম বিবেচ্য বিষয়।

তিনি আরও বলেন, ক্লাস ও কম্পাউন্ডে নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রাখা, ওয়াস ব্লক, তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা, জীবানুনাশক স্প্রেসহ সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া যদি কোন শিক্ষার্থী অসুস্থবোধ করে তার জন্য আলাদা কক্ষের ব্যবস্থাসহ একজন শিক্ষক আলাদা রাখা হবে সার্বক্ষনিক সকল শিক্ষার্থীদের তদারকির জন্য। বিষয়টি কিছুটা কঠিন হবে জানিয়ে তিনি (পাপিয়া জেসমিন) প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা জীবনে ফিরিয়ে আনতে দ্রুত ক্লাসে পাঠদান শুরু করার ব্যবস্থা করায় শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে সকল শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

সর্বশেষ