জাহিদ হাসান, মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুর সদও উপজেলার কালিকাপুর ৪৩ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী এনামুলহককে শ্রেণী কক্ষে মারধরের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য দেলোয়ার হোসেন খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ক্লাস চলাকালীন সময়ে দেলোয়ার খান শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদেও সামনে শিক্ষক এনামুলহককে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি ও চড়-থাপ্পড় মারে। এর পর এনামুলহককে হুমকি দিয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় শিক্ষক কাজী এনামুলহক সন্ধ্যায় দেলোয়ার খানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার রাত ১০টায় তাকে সদও উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ।
এামলার এজাহার থেকে জানাগেছে, সদও উপজেলার কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি পুরি সিঙ্গারার দোকান করেন দেলোয়ার খানের মামাতো ভাই। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেও শারীরিক সুস্থতার কথা চিন্তা করে নিয়মিত বাইরের দোকান থেকে পুরি-সিঙ্গারা খেতে নিষেধ করেন শিক্ষক এনামুলহক। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন দেলোয়ার খান। মঙ্গলবার দুপুরে ক্লাস চলাকালীন দেলোয়ার হঠাৎ শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ কওে শিক্ষার্থীদেও সামনে শিক্ষক এনামুলহককে এলোপাথারী কিল ঘুষি ও চড়-থাপ্পড় মারে। এর পর এনামুলহককে হুমকি দিয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ওই শিক্ষক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত দেলোয়ার খানকে গ্রেফতার করে।
ভূক্তভোগি শিক্ষক এনামুলহক বলেন, ক্লাসে ঢুকে সব শিক্ষার্থীও সামনে আমাকে এলোপাথাড়ি মারধর করেছে। এর চেয়ে মরে যাওয়াও ভালো ছিল। যদি কোন ভুলও করে থাকি, তাহলে সে আমাকে ডেকে শুনতে পারতো। কিন্তু সেটা না করে দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সে আমাকে শারীরিক ভাবে আঘাত করলো। এ ঘটনায় আমি তার কঠোর বিচার দাবী করছি।
মাদারীপুর সদও মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষক লাঞ্ছিতোর ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে আসামিকে গ্রেফতার করে বুধবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
