মির্জা আহসান হাবিব ঃ মোঃ শাহজাহান খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। পটুয়াখালীর সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে হাতে খড়ি।স্কুল,কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ছাত্র রাজনীতির নের্তৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৭১ এ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুক্তি সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েছেন এবং দেশ মা’কে হানাদার মুক্ত করে নিজ মায়ের কোলে ফিরে এসেছেন। তিন চাচাত ভাই মিজানুর রহমান খান,আইয়ুব আলী খান ও শাহজাহান খান একত্রে ভারতের ২৪ পরগনার টাকি ক্যাম্পে প্রশিক্ষন নিয়ে ক্যাপ্টেন বেগের নেতৃত্বে দেশে এসে সরদার রশিদ,খান মোশারফ হোসেনের সাথে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেন। পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলী মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্বেপর দায়িত্ব নেন।
আজ ও বঙ্গবন্ধুর নামে,মুক্তিযুদ্ধের নামে জয়গান করে যাচ্ছেন। সামাজিক ও রাজনৈতিক সমাবেশ হলে ঘন্টার পর ঘন্টা দেশের ও দশের কথা, বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ের কথা , মুক্তিযুদ্ধের এবং বঙ্গবন্ধুর কথা প্রচার করে যাচ্ছেন। পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ঘুরে ঘুরে কেন বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী তা ছাত্র ছাত্রীদের শোনান (বাঙ্গালী জাতির অভ¦ুদয় স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু) মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলেন বলেন বঙ্গবন্ধুর কথা।তার হৃদয় জুড়ে শুধুই বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ। একজন শুদ্ধ মনের অধিকারী শাহজাহান খান পটুয়াখালী পৌরসভার (সাবেক ২ নং ওয়ার্ডের) ২ দুইবার নির্বাচিত কাউন্সিলর ছিলেন।পটুয়াখালী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের নির্বাচিত কমান্ডার হিসেবে দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়েছেন।
১৯৮১/৮২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মেম্বর থাকালীন স্বৈর শাসকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে ৯ মাস কারাবরন করেন। এ ছাড়াও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগে এর মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পটুয়াখালী শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির সংগঠন ‘দক্ষিণের কবিয়াল‘র তিনি উপদেষ্টা এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনেকগুলো সংগঠনে তিনি সক্রিয় রয়েছেন। আপাদমস্তক সংস্কৃতিবান,প্রগতিশীল ও মুক্ত চিন্তার মানুষ টি ১৯৫৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী পটুয়াখালীর চরপারায় জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মোঃ সিরাজ উদ্দিন খানও অবশ্য বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন যার স্বীকৃতি স্বরূপ আওয়ামী লীগের ৫০ বছর পূর্তিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে সংবর্ধিত করেন। লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান এর মা সামসুন নাহার খনব একজন গৃহিণী ছিলেন। এক কন্যা ও দুই পুত্র সস্তানের জনক। তার স্ত্রী তাসলিমা খানম সব সময় লেখকের সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিয়ে থাকেন।
“রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে কিন্তু বইখানা অনন্ত যৌবনা …” এ ধারনাকে সামনে নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহজাহান খান এর লেখা ইতিহাস সমৃদ্ধ গ্রন্থ ‘শ্রেষ্ঠ বাঙালী-গণআদালতে রাজনৈতিক দলের বিচার” নামক বই এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৭ জানুয়ারী রবিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক দরবার হলে বিশিস্ট আবৃত্তিকার কবি লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহজাহান খানের লেখা ইতিহাস সমৃদ্ধ গ্রন্থ ‘শ্রেষ্ঠ বাঙালী ও গণআদালতে রাজনৈতিক দলের বিচার” বই’এর মোড়ক উন্মোচন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর, সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আবদুল মান্নান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক জালাল আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ মজিদ, বিশিস্ট লেখক খন্দকার ফরহাদ জামান বাদল, কবিয়াল লেখক জাহাঙ্গীর হোসেন মানিকসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা, সুধী ও সাংবাদিকবৃন্দ।
