নিজস্ব প্রতিবেদক :::: যুবদল নেতাকে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনারসহ ৩৯ বিরুদ্ধে নালিশী মামলা করা হয়েছে।
রবিবার বরিশালের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন বরিশাল জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ মো. মশিউল আলম খান।
অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরী নালিশী অভিযোগ এজাহার হিসেবে রুজু করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য মহানগর পুলিশের বন্দর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে বেঞ্চ সহকারী আরমান হোসেন।
মামলার নামধারী আসামিরা হলেন সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য কর্নেল অব. জাহিদ ফারুক শামীম, সাবেক পুলিশ কমিশনার রুহুল আমিন, রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক অজিয়র রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ভুঁইয়া, বন্দর থানার সাবেক ওসি মো. মোস্তফা কামাল হায়দার, পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ মো. ফয়সাল আহম্মেদ, এসআই আব্দুল মালেক, কনস্টেবল ফয়জুল, এএসআই এরফান হোসেন মিদুল, এএসআই সহিদুল ইসলাম, এএসআই রফিকুল ইসলাম, এএসআই রাসেল মিয়া, এএসআই মোহাম্মদ মিলন বিশ্বাস ও এএসআই মো. মেহেদি হাসান। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এমএ মালেক বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পথরোধ করে অপহরণ করে হত্যার চেষ্টায় মারধর, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী মো. আরমান হোসেন বলেন, আসামিরা পুলিশের ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তারা বিগত সরকারের অন্যায় এজেন্ডা বাস্তাবায়ন করে মানুষের মৌলিক অধিকারকে হরণ করেন।
ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার পাতানো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারি দলের মনোয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীকে বিনাভোটে নির্বাচিত করার হীন চক্রান্তে লিপ্ত ছিলেন। মামলা প্রধান আসামি কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীম সরকার দলের প্রার্থী।
মামলার প্রধান সাক্ষী অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। আসামিরা বিএনপির প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত জানতে পেরে প্রচারণায় বাধা, কর্মীদের মারধর, হুমকি, মিথ্যা মামলায় গণগ্রেপ্তার করাসহ গুম করার মতো প্রক্রিয়া শুরু করে।