অনলাইন ডেস্ক।।
শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে পদযাত্রায় বের হওয়া মোহাম্মদ হানিফ ওরফে ‘হানিফ বাংলাদেশি’ (৪০) বরিশালে পৌঁছেছেন।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন ও কার্যকর গণতন্ত্র লেখা ব্যানার গলায় ঝুলিয়ে বরিশাল নগরীর আগরপুর রোডের পাশে দাঁড়িয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি।
এ সময় তার মাথায় ছিল গণভোটের একটি বাক্স। এতে লেখা নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন ও কার্যকর গণতন্ত্রের দাবিতে প্রতীকী গণভোটে আপনিও মতামত দিন। বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে গণভোট সংগ্রহ করেন মোহাম্মদ হানিফ।
শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে ২৪ অক্টোবর কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করেন মোহাম্মদ হানিফ ওরফে হানিফ বাংলাদেশি। তিনি ৬৪ জেলা থেকে গণভোট সংগ্রহ করে সবশেষ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা পৌঁছাবেন। একই দাবিতে তিনি সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেবেন।
এ কর্মসূচি সম্পর্কে মোহাম্মদ হানিফ বলেন, আমরা পাকিস্তান আমলে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫০ বছর। এ সময়ে যে দল যখনই রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে, সে দলই কমবেশি গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করেছে। জনগণ মৌলিক অধিকার ও নিজস্ব ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। সার্চ কমিটি, এটাও একটা শুভংকরের ফাঁকি। নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন করে জনগণের ভোটাধিকার ও নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
নোয়াখালী সদরের জাহানাবাদ গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে মো. হানিফ দেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে প্রতীকী লাশ নিয়ে তিনি পদযাত্রা করেছেন। ‘জাগাও বিবেক, জাগ্রত করো মানবতা’ স্লোগান নিয়ে ঘুস, দুর্নীতি ও নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতিবাদে ৫৬ হাজার বর্গমাইল প্রদক্ষিণ এবং ৬৪ জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি ছাড়াও ঘুস-দুর্নীতিবিরোধী প্রচারাভিযান চালান। রাজধানীতে গণশৌচাগার স্থাপন আন্দোলন ছাড়াও অনাকাঙ্ক্ষিত মানবভ্রূণ হত্যা বন্ধের দাবিতে মানুষকে সচেতন করে আলোচিত হয়েছিলেন।
এছাড়া নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূ ধর্ষণের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছিলেন। এসব কর্মসূচি পালনের কারণে তিনি ‘হানিফ বাংলাদেশী’ নামেই বেশি পরিচিত।