১০ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

সৌদি আরবের সফল ব্যবসায়ী মঠবাড়িয়ার আবুল হোসেন

বরিশাল বাণী ডেস্ক: প্রতিজন প্রবাসীরা এক এক জন বাংলাদেশি এম্বাসিডর।ধনধান্যে পুষ্পেভরা, আমাদের স্বদেশধরা। দেশ মাতৃকার টান বিদেশে বিভুঁইতে আসলে, প্রবাসী হলেই কেবল দেশের নারীর টান. বিনাসুতার মালার নিবির বন্ধনের সুরে জাগ্রত হয়। প্রবাসে বাংলাদেশকে তুলে ধরার মাঝে দেশপ্রেমসহ বহুমাত্রিক ভালবাসা কাজ করে। দিনের পর দিন হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমের বিনিময়ে নিজে স্বচ্ছল স্বাবলম্ভি হয়ে মাতৃভুমিকে বিদেশে তুলে ধরার গভীর আনন্দে নিবেদিত হয়। এমনই একজন বাংলাদেশি প্রবাসী সফল ব্যবসায়ি আবুল হোসেন।
ধান নদী খাল এই তিনে বরিশাল দেশের শষ্যভান্ডার খ্যাত সুন্দর বনের কোলঘেষা পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া নিবাসি বর্তমান সৌদি আরব রিয়াদ প্রবাসী আবুল হোসেন। একাধারে প্রবাসী উদ্যোগতা, সফল ব্যবসায়ি ও কর্মবীর, প্রবাসীসেবক।সর্বপরি প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা ও প্রবাসী কর্মবীর। যার চৌকোশ মেধা- যোগ্যতা, কঠিন ক্লান্তিহিন শ্রম, কর্মনিষ্ঠা সততার ধারাবাহিকতার ২৯ বছরের সফল ফসল হিসাবে আজকের মরিয়ম বিজনেস গ্রুপ কে এস এ দেশ বিদেশে সমাদৃত।
যার ৮টি প্রতিষ্ঠানে শতাধিক প্রবাসী কর্মবীর কর্মরত রয়েছেন। এসব কর্মবীরগণ দেশে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে নিয়মিত। এরাই প্রকৃত রেমিটেন্স যোদ্ধা। প্রবাসী যোদ্ধা। প্রতিজন এম্বাসিডর।
মরিয়ম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আবুল হোসেন সৌদি আরবের প্রবাসে একে একে গড়ে তুলেছেন- মরিয়ম পল্ট্রিফিড কোঃ, মরিয়ম রিয়ালে এ্যাস্টেট ও হাউজিং, মরিয়ম কম্পিউটার, মঠবাড়িয়া ট্রাভেলস। মরিয়ম বিরিনিয়ানি হাউজ এন্ড সুইটস, মরিয়ম সুপার মার্কেট ১,২,৩। দেশের সাভারে রয়েছে প্লাস্টিক ফার্নিচার ফ্যাক্টোরি। দেশের মঠবাড়িয়াতে নানান সামজিক মানবিক সংগঠনের পৃষ্ঠপোশক হিসাবে সুপরিচিত। আবুল হোসেনকে রেমিটেন্স কারিগরও বলা হয়।তার সহোদর ভাইদের আবুল জাফর,আবুল বাশার,আবুল সালেহ,আবুল কালাম ও আবুল তাহেরকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আবুল হোসেনের প্রিয় একমাত্র কন্যা মরিয়মের নামে তার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম করন করেছেন।
মরিয়ম সুপার শপ-৩ উদ্বোধন কালে প্রবাসীরা বলেন- আবুল হোসেন প্রবাসী বান্ধব সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ি। অসহায় প্রবাসীদের পাশে থাকেন। আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন। তার সুপার শপ গুলোতে সুলভ মুল্যে সঠিক ওজনে মনোরম পরিবেশে মানসম্মত নিত্যদিনের পন্য সামগ্রি বিক্রি করেন।পাকিস্তান ইন্ডিয়ার ভোক্তা পন্যমুল্য থেকে ২/১ রিয়াল কমমুল্যে বিক্রি করেন।কেবল ভোক্তা চাহিদার কারনে একটি সুপার শপ থেকে ৩টি সুপার শপ প্রতিষ্ঠা করেন এই ধারা অব্যাহত থাকবে। আবুল হোসেনের সুপার শপ গুলোতে ৬০% বাংলাদেশি পন্য যায়।বাংলাদেশি ছাড়াও ভারতিয়, পাকিস্তানি, আরাবিয়ান নাগরিকরা আবুল হোসেনের সুপার শপ গুলোতে কেনাকাটার জন্য আসেন।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ