শামীম মীর, গৌরনদী।। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বৈশাখী মেলাকে ঘিরে প্রায় ছয় মাস আগে থেকেই তাল পাখা তৈরির কাজ শুর করেছিলো পাখা পল্লীর শতাধিক বাসিন্দারা। এসব হাত পাখা দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার মাসব্যাপী বৈশাখী মেলায় বিক্রি করার মাধ্যমে সংসারের ভরনপোষনের যোগান দেওয়ার স্বপ্ন ছিলো পাখা পল্লীর কারিগরদের। তাদের সেই স্বপ্ন মহামারী করোনায় ম্লান করে দিয়েছে।করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে একদিকে বন্ধ রয়েছে মাসব্যাপী বৈশাখী মেলা। অপরদিকে চলছে কঠোর লকডাউন। ফলে পাইকার কিংবা খুচরা বিক্রেতা না আসায় পাখা পল্লীর কারিগরদের তৈরি করা তালের পাখা এখন ঘরের মধ্যেই স্তুপ করে রাখা হয়েছে। তাই এবার পাখা তৈরীর কারিগররা লাভের চেয়ে লোকসান ও আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে জানিয়েছেন।বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী একটি গ্রামের নাম চাঁদশী। গ্রামের নাম চাঁদশী হলেও বর্তমান প্রজন্মের কাছে ওই গ্রামটি বরিশালের পাখা পল্লী হিসেবেই বেশি পরিচিত। গ্রামের শতাধিক পরিবার বংশ পরস্পরায় কয়েক যুগ থেকে তালপাতা দিয়ে হাত পাখা তৈরি করে তার বিক্রির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, পাখা পল্লীটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে কথা হয়েছে। জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, খুব শীঘ্রই পাখা পল্লীটি পরিদর্শনে যাবো। তিনি আরও বলেন, এ পেশার সাথে জড়িতরা নগদ অর্থ সহায়তাসহ ব্যাংক ঋণের জন্য আবেদন করলে বর্তমান সরকারের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন তাদের সবধরনের সহযোগিতা করবে।