নিজস্ব প্রতিবেদক।। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পাওনা ২০০ টাকা একদিন পরে দেওয়ার কথা বললে লোহার পাপ দিয়ে পিটিয়ে শহিদুল ইসলাম(৩৫) নামের এক অটো চালককে পিটিয়ে দাঁত ভেঙে দিল স্থানীয় বখাটে সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অটো চালকের অটো ভাঙচুর চালায় এবং অটো গাড়ির সিট পানিতে ফেলে দেয়।
গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা য় মেলকার বাড়ির সামনে তিন রাস্তার ব্রিজের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
আহত অটোচালক ওই থানার ৫ নং কাকড়া বুনিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড কাঁকড়া বুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ফারুক আকনের ছেলে
বর্তমানে তিনি মুমূর্ষ অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
অটো চালককে এমন নির্মমভাবে মারধরের ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে । প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
আহত সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী অটো চালক শহিদুল ইসলামের কাছে একই এলাকার বাসিন্দা হারুন হাওলাদারের ছেলে সাব্বির মাত্র ২০০ টাকা পেত । ঘটনার দিন সেই টাকা চাইলে শহিদুল ইসলাম পরে দিন দেয়ার কথা বলে । এ সময় এ নিয়ে উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। সাব্বির হাওলাদার ক্ষিপ্ত হয়ে অটো ভাঙচুর চালায় ও অটোর মালামাল কভার সহ অন্যান্য জিনিসপত্র পানিতে ফেলে দেয় এবং সাব্বির হাওলাদার , সুখী, আলতাফ সহ কয়েকজন সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র লোহার ও পাপ দিয়ে পিটিয়ে শহিদুল ইসলামের দাঁত ভেঙে ফেলে এবং সারা শরীরে মারাত্মক জখম করে।
পরে স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য শেবাচিমে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে মামলাদারের প্রস্তুতি চলছে বলেও আহতের স্বজনরা আরো জানান।