হারুন অর রশিদ,
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ দেওয়ানী আদালত পুনঃস্থাপনের দাবীতে ৩ ডিসেম্বর ২০২১ শুক্রবার সন্ধ্যা ৮টায় আমতলী পৌরসভা মিলনায়তনে পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে মতবনিমিয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) এড. এমএ কাদের মিয়া,ভাইস চেয়ারম্যান প্যানেল-১ মোঃ মজিবুর রহমান,সাবেক মেয়র নাজমুল আহসান নান্নু, চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন মৃধা, আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মৃধা, এড. শাহজাহান মিয়া, এড. নুরুল ইসলাম, সাংবাদিক হাসানুর রহমান ঝন্টু, এড. সঞ্জিব দাস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ৩০ বছরেও আমতলীতে দেওয়ানী আদালত পুণঃস্থাপন না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পরছে আমতলী-তালতলী উপজলার কয়েক লক্ষ মানুষ। চার কিলোমিটার প্রমত্তা পায়রা (বুড়িশ্বর) নদী পাড়ি দিয়ে মামলা-মোকোদ্দমার জন্য যেতে হয় বরগুনা জেলা শহরে।
জানাগছে, ১৯৮২ সালে আমতলী-তালতলী নিয়ে আমতলী উপজেলা গঠিত হয়। এরপর থেকেই আমতলীতে মুনসেফ (দেওয়ানী) আদালত স্থাপিত হয়। ১৯৯১ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে
কোন কারন ছাড়াই আমতলী আদালত প্রত্যাহার করে বরগুনা জেলা শহরে নিয়ে যায় তৎকালীন সরকার। মুনসেফ আদালত বরগুনায় নিয়ে যাওয়ার এক বছররে মাথায় ১৯৯২ সালে পায়রা নদী ও রাখাইন অধ্যুসিত এলাকা বিবেচনা করে ফৌজদারী আদালত পুনরায় আমতলীতে শুরু হয়। বন্যা-জলোচ্ছ্বাস উপক্ষো করে চার কিলোমিটার প্রমত্তা পায়রা নদী পাড়ি দিয়ে দুই উপজেলার মানুষের বরগুনা জেলা সদরে সহকারী জজ আদালতে মামলা করতে যেতে হয়।
২০১২ বরগুনা জেলা জজ আমতলীতে দেওয়ানী আদালত পুনঃস্থাপনের পক্ষে প্রতিবেদন দিলেও দীর্ঘ নয় বছরেও তা আলোরমুখ দেখেনি।এতে স্থাবর হয়ে পরেছে আদালত পুনঃস্থাপনের কার্যক্রম। দ্রুত আমতলীতে দেওয়ানী আদালত পুনঃস্থাপনরে দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতরে আইনজীবি এড. ইসহাক বাচ্চু বলেন, আমতলীতে দেওয়ানী আদালত না থাকায় প্রায় ৪ হাজার মামলার বিচার প্রার্থীদের বরগুনা আদালতে যেতে হচ্ছে, যা চরম দূর্ভোগের। দ্রুত দেওয়ানী আদালত পুনঃস্থাপনের দাবী জানাই। এতে মানুষের শারীরিক ও অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতি হচ্ছে।
বরগুনা আইনজীবি সমিতির সহ-সভাপতি সিনিয়র আইনজীবি এ্যাড.এমএ কাদের মিয়া বলেন, ১৯৯১ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে আমতলী থেকে দেওয়ানী আদালত বরগুনা জেলা সদরের সাথে সংযুক্ত হয়। গত ৩০ বছর পেরিয়ে গেলেও দেওয়ানী আদালত আমতলীতে পুনঃস্থাপন হয়নি। এই ৩০ বছর ধরেই দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ চরম কষ্টে মামলা পরিচালনা করছেন।
বরগুনার আইনজীবীর এড. শাহজাহান মিয়া ও এড. সঞ্জিব দাস বলেন, আইন মন্ত্রনালয়ের র্উধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে আমতলীতে দেওয়ানী আদালত পুনঃস্থাপনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে আদালত পুণঃস্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে।