১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই সাংবাদিকতার সংস্কার হওয়া উচিত ভোলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ত্রিমুখী সং*ঘর্ষে ওসিসহ আ*হ*ত অর্ধশত বরগুনায় পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য, ভোগান্তিতে সেবাপ্রার্থীরা সেতু না থাকায় দুর্ভোগে পটুয়াখালীর তিন উপজেলার মানুষ বরিশালে টাকা আনতে গিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের মা*র*ধ*রের শিকার ব্যবসায়ী অবৈধ ভারতীয়দের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বান গয়েশ্বরের সরকার পতনের হাওয়া লেগেছে সিরিয়ার ফুটবলে বিসিএসসহ সব সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি ২০০ টাকা, প্রজ্ঞাপন জারি ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সাংবাদিকতা: সংস্কার ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা সকল শহীদ পরিবারের সামনে শেখ হাসিনার ফাঁ*সি হবে : মাসুদ সাঈদী

৪ মাস পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন তজুমুদ্দিনের ছালমা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

অনলাইন ডেস্ক :: নিখোঁজের চার মাস পর মানসিক ভারসম্যহীন ছালমা তার বাবা-মাকে খুঁজে পেয়েছেন। বুধবার (২২ জুলাই) সকালে আশ্রয়দাতা রুহুল মাতব্বরের বাড়ি থেকে তাকে বাড়ি নিয়ে গেছেন তার বাবা-মা।

ছালমা বেগম ভোলার তজুমুদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের গোলকপুর গ্রামের নাছির হাওলাদারের বড় মেয়ে।

ছালমার মা জুলেখা বেগম জানান, চার মাস আগে অসুস্থ মেয়েকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ভোলা থেকে বরিশাল নেয়া হয়েছিল। বাড়ি ফেরার পথে বরিশালের নতুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে মেয়েটি হারিয়ে যায়। তখন থেকেই আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে খুঁজতে থাকেন তারা।

তিনি বলেন, ছালমা পটুয়াখালীর মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের মাইটভাংগা গ্রামের রুহুল মাতব্বরের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে বলে খবর পাই। পরে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) রাতে রুহুল মাতব্বরের বাড়িতে গিয়ে রাত্রিযাপন করে বুধবার সকালে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরি।

ছালমার আশ্রয়দাতা রুহুল মাতব্বর বলেন, অচেতন ও রোগাক্রান্ত অবস্থায় ছালমাকে বাড়িতে আশ্রয় দেই। কথা বলতে না পারায় মেয়েটিকে আমার স্ত্রী মাতৃস্নেহে সেবা করতে থাকেন। কিছুটা সুস্থ হলে নাম-ঠিকানা বলতে শুরু করে ছালমা। বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানালে তারা মেয়েটির বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বুধবার সকালে ছালমা তার বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়িতে গেছেন।

ছালমার বাবা নাছির বলেন, রুহুল মাতব্বরের মোবাইল ফোনে মেয়ের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হই। তিন সন্তানের জননী ছালমা শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব বলেন, ছালমার আশ্রয়দাতা রুহুল মাতব্বর বিষয়টি স্থানীয় সংবাদকর্মীদের অবহিত করেন। পরে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তার বাবা-মাকে খবর দেয়া হয়। বুধবার সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে ছালমাকে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

মহিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মনিরুজ্জামান বলেন, নিখোঁজ মেয়েটিকে স্থানীয়ভাবে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বলে শুনেছি।

সর্বশেষ