জাহিদ হাসান,মাদারীপুর প্রতিনিধি: অবশেষে গ্রামের বাড়ি পৌঁছালো তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া ৮ বাংলাদেশির মরদেহ। ভুমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে মারা যাওয়ার ৭৮ দিন বাড়িতে লাশ পৌঁছালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্বজনরা। পরে লাশগুলো দাফন করা হয় পারিবারিক কবরস্থানে। এতে একদিকে আদরের সন্তানদের হারিয়ে দিশেহারা পরিবার, অন্যদিকে দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষুব্ধ স্বজন ও এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে তিউনিসিয়া থেকে সৌদিয়া এয়ারলাইন্স-এর একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দের পৌঁছায় নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ। পরে মরদেহগুলো নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেলে। আইনী প্রক্রিয় শেষে শুক্রবার দুপুরে পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেয় ঢাকা জেলা প্রশাসন ও বিমানবন্দর থানা পুলিশ। পরে মরদেহগুলো নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈরে ও গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে। শুক্রবার রাতে ধর্মীয়রীতি শেষে নিহতদের দাফন করা হয় নিজ নিজ পারিবারিক কবরস্থানে।
স্বজনরা জানায়, গত ১৪ জানুয়ারি রাজৈর ও মুকসুদপুরের কয়েকজন যুবক ইতালীর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। প্রথমে তারা বিমানযোগে লিবিয়া, পরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি লিবিয়া থেকে দালালদের মাধ্যমে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ইতালীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় তারা। মাঝপথে তিউনিসিয়ার ভুমধ্যসাগরে ইঞ্জিন ফেটে আগুন ধরে ডুবে যায় নৌকাটি। এতে রাজৈরের কোদালিয়ার সজীব কাজী, পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের মামুন শেখ, সেনদিয়ার সজল বৈরাগী, কদমবাড়ির নয়ন বিশও কেশরদিয়া গ্রামের কাওসার ও গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের রিফাদ, রাসেল ও আপনের মৃত্যু হয়।
উল্লেখ, ৮ বাংলাদেশি ছাড়াও এই দুর্ঘটনায় এক পাকিস্থানী নাগরিকও মারা যান। কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় কোস্টগার্ড।