২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঃ যুগ যন্ত্রণা ঃ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মোঃহাবিবুর রহমান বিশ্বাস।

সাবধান ভাই সাবধান,
সতর্ক হয়ে পথ চলুন।
অসুস্থ এ পৃথিবীতে
চলতে হবে সুস্থ চিতে।
হোচট খেয়ে যদি পরেন
অসময়ে হবে মরন।
কৈফিয়ত চাবেন কার কাছে?
হ্যা হ্যা করে দিবে হেসে।
নেই কোথাও বিচার আচার,
লুটেরা সব করবে সাবাড়।
তাদের কাছে সব স্বাভাবিক
হাড়াতে হবে খুদ্র তৌফিক
বিবেক আছে কার কাছে?
তারাভাবে সবই মিছে।
যতই আপনি বলেন,”নেই
সে বলবে আরোও চাই।
যার আছে ভুরি ভুরি,
সপ করবে পুকুর চুরি।
সিদেল চোর আর পকেটমার
তাদের নেই কোন খবর।
ওরা সব চুনো পুটি
মতস্যন্বয়ে হরিলুটি।
বেধেসেধে ঘটি বাটি,
পথে নেমেছে বাপ বেটী।
উপরে আসমান নীচে যমিন
ঠিকানাবিহিন শূন্য ভূবন।
কারোও কাছে পায়নাধার
চারদিকে অন্ধকার।

যার জ্বলতোনা রান্নার চুলো
মিলেনা তার পায়ের ধূলো।
আগে ছিলো আদার বেপারী
এখন তাদের জমিদারি।
কিনে কেটে করছে ফতুর
সমাজে আজ সে বড় হুজুর।
মান সম্মানী গুটিয়ে রেখে
খিল এটে দাও নিজের বাটে।
উপায় নেই ভাই উপায় নেই,
কোথাও গিয়ে পাবেনা ঠাই।
এসবই এখন হালচাল
মনকে বলো কলিকাল।
পর্দা করাকে সেকেলে বলে
লজ্জা সরম ঝেড়ে ফেলে।
দেহ দেখানো আধুনিকতা
আব্রু খুলে চায় স্বাধীনতা।
ধর্ম কর্ম কেউ মানেনা,
রোজানামাজকে অবমাননা।
মাথা খোলা অঙ্গ জলা,
জীবন সুধা কাকে দিলা?

দুষ্টু ছেলে যুবতী রা
পথেঘাটের কৃষ্নচূড়া,
শিষ দেয় আর বিষ ছড়ায়
জীবনটাকে উচ্ছন্নে দেয়।
নেশাাখোর আর আউলা বেশে
ইচ্ছে জানায় অট্ট হেসে।
উদোম গায়ে বুতোম খোলা,
নিত্য নতুন রঙের মেলা।
চলছে ছুটি কলার ভেলা
মান ইজ্জতের কোথায় বালা?
মনে হয়না মাবোন আছে
নারীরাও নেইতো বসে।
বাদাম দিয়ে চলছে তরী
এটাই যেন বাহাদুরি।

থাক ভাই থাক
আর বাজাবোনা ঢাক,
খেতে পারি কিল গুতো
নয়তো হবে চাদার ছুতো।
হায়রে মানুষ হইলি বেহুস
পোশাক দেখে কে বুঝিবে?
কেবা পুরুষ কেবা নারী ?
কেবা স্ত্রী কেবা মেয়ে?
ভুলবশত ভুল করিলে
কেবা নিবে তার দায়?
কি তফাত আজ এরাজত্বে?
পশুত্ত আর মনুষ্যত্বে।
কিযেন আরোও আছে ভালে
স্বস্তি নেইতো হাসপাতালে।
জেলখানাতেও নিরাপত্তা নেই
কাকের মাংস কাকে খায়।
বিচার চাবো কার কাছে?
বৃথা আস্ফালন সবই মিছে
কোথায় গিয়ে পাবো ঠাই?
আল্লাহর কাছে পানাহ চাই।

**(ভেজাল অংশ)
***********************
ভেজাল ভেজাল ভেজাল,
শুনে এক কেচাল,
কান হলো ঝালাপালা
হয়েছে কি কোন ফয়সালা?
যাকে ধরে নাহি ডরে,
কিইবা হয় জেলে ভরে?
দুদিন পরে বের হয়ে
একই কাজ শুরু করে।
এখানেও ভেজাল
থামেনাতো কেচাল।
মাছে ভেজাল মাংসে ভেজাল
ভেজাল ডালে ভেজাল চালে
পিয়াজ আর আাদা রসুনে
পুই শাক আর হেলেন্চা শাক
কুমরা কচু আার লাউ তামাক
লবন,চিনি দারুচিনি
লবঙগ আর এলাচিতে
জিড়ার গুড়া মশলাতে
মুড়ি ভাজে নাকি সার দিয়ে,
ঘিয়ের কাজ সয়াবিনে।
আটা ময়দা এক দামে
লবন কিনে একই মানে।

চাল কোনটা চিনিনে,
কোনটা মোটা কোনটা চিকন
মপশিনে দিলে সবই পাইজাম।
মিনিকেটের দাম দিয়ে
তৃপ্তি মিটাই লাল শলুইয়ে,
হায়রে! কেমন কলিকাল?
মেশিন টানে গরুর হাল।
শ্রমহীন কৃশকের
বাতে ধরছে শুনছি খবর।
গোরস্থানে খাটাস নিবাস
সাপ বিচ্ছু বোলতার বাস।
বিবেক বুদ্ধি গেল কই?
দাড়ি পাল্লায় নেইতো সই।
আখেরাতের চিন্তা নেই
করনাতে ধরছে তাই।
কেন এতো রোগ শোক?
মানুষের তো বাড়ছপভোগ।
ঔষধে নেই উপকার
তারও শুনি নানান খবর।
যক্ষা কুষ্ঠ ক্যান্সার
ছড়িয়ে পরছে ঘরঘর।
***********************
(চলবে)

সর্বশেষ