২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বরিশালে ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার চরকাউয়ায় যুবলীগ নেতা খান মামুনের গণসংযোগ বাংলাদেশে বর্তমানে ভারতের তাবেদার সরকার শাসন করছে : বরিশালে ভিপি নুর বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ, ইমামের কক্ষে আগুন উজিরপুরে ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার কাউখালীতে পাটি খাতে রূপালী ব্যাংকের ক্লাস্টার ভিত্তিক ঋণ বিতরণ বিআরডিবি'র কার্যক্রম পরিদর্শনে সচিববৃন্দ মনপুরায়, কিশোরীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ ও উঠান বৈঠক বরিশালে ‘সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শহর রক্ষা বাধ দখলের মহোৎসব উজিরপুরে মাদকসহ জেলা ডিবি'র খাচায় ১ মাদক কারবারী আটক রাজাপুরে নিখোজ ভ্যান চালকের লাশ ভাসছিলো নদীতে

অপরূপ সৌন্দর্যের অরণ্য দ্বীপ ‘কুকরি-মুকরি’

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মামুন-অর-রশিদ: বাংলার বুক চিড়ে মনোরম প্রকৃতির লীলাভুমি অপরূপ সৌন্দর্যের অরণ্য দ্বীপ ভোলার চর‌ফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার ‘কুকরি-মুকরি’ । কয়েকটি গ্রাম মিলে এটি একটি ইউনিয়ন।  দৃষ্টি সীমানার পুরোটা ফোকাস জুড়ে শুধু সবুজ আর সবুজ। দৃষ্টিকে সম্মোহন করে হাতছানি দিতে থাকে টুকরো টুকরো নিবিড় বনভূমি। মেঘনার উত্তাল ঢেউ, বৈরী বাতাস আর জলোচ্ছ্বাসের গর্জন যখন কর্ণকুহর হয়ে মস্তিষ্কে পৌঁছে উদ্বেল করে অরণ্য দ্বীপ  ভাবনার জগতকে, ঠিক তখনই এই সবুজ দ্বীপ আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমি দেয় নিবিড় ভালোলাগার এক চিরসবুজ প্রশান্তি। বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এই দ্বীপে ৷ শিয়ালের দল, হরিণের পাল, আর বন্য মহিষের বিশাল বাহিনীগুলো নিজ চোখে দেখা যায় অনায়াসেই।  নাম না জানা হাজার রকমের গাছের সাথে সারি সারি নারিকেল গাছ আর বিশাল বালুকাময় চরটি দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। শীতকালে দেখা মিলে হাজার হাজার অতিথি পাখির ৷ তাছাড়া কৃত্তিমভাবে তৈরী করা হয়েছে ঝুলন্ত ব্রীজ ও মাকড়সার জাল। তবে শীত কালই ভ্রমণের মুখ্যম সময়। বিশেষ করে জানুয়ারী থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত।

এই চরের কাছাকাছি ঢাল চর, চর মানিক, সোনার চর, রুপার চর সহ বেশ কিছু চর আছে। কুকরি মুকরি থেকে রিসার্ভ ট্রলার কিংবা স্পিডবোর্ড নিয়ে ঘুরে যাওয়া যায় এসব চরে ৷ আরেকটু দুরে গেলে তাড়ুয়া দ্বীপ। সেখানে বঙ্গোপসাগড়ের পারে বিশাল সীবিচ।
চর কুকরি মুকরিতে থাকার জন্য রয়েছে বন বিভাগের একটি বিশাল রেস্ট হাউজ। চারিদিকে ফুলের বাগানে ঘেরা ও নিচেই রয়েছে একটি সুইমিংপুল। চমৎকার ও আধুনিক ডিজাইনে করা এই রেস্ট হাউজে রয়েছে জেনারেটর ও আইপিএস ব্যবস্থা। যদিও এটি এখন দেখভাল করা হয় ইউপি চেয়ারম্যানের তত্বাবধানে। তাছাড়া ব্যক্তি মালিকানায় দু’একটি আবাসিক হোটেল বা রিসোর্ট আছে। থাকার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে ওঠা যায়। তবে সবচেয়ে সহজ আর মজাদার থাকার ব্যবস্থা হলো চরে ক্যাম্প করে থাকা। এতে খরচ যেমন বাঁচবে, সাথে  প্রাকৃতিক এক অন্যরকম ভিন্ন পরিবেশের স্বাদ পাওয়া যায়। এই চরের যেখানে খুশি ক্যাম্প করা যাবে, সম্পূর্ণ নিরাপদ। ক্যাম্প করার জন্য এখানে আছে, বিশাল জায়গা।  তবে বনের ভিতরে ক্যাম্প করা থেকে বিরত থাকতে হবে। চমৎকার এই জায়গাটিতে এখনো বিদ্যুৎ পৌছেনি। তবে প্রক্রিয়াধীন আছে। ফলে মোবাইল চার্জ নিয়ে কিছু বিরম্বনা হতে পারে। তাই যাওয়ার সময় ফুল চার্জ ও পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে যাওয়াই ভালো।

সর্বশেষ