২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
গলাচিপায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে গৃহবধূকে মারধর কলাপাড়ায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রকাশ্যে খাল ভরাট বরিশালে অভয়াশ্রমের নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরার অপরাধে ৮ জেলেকে জরিমানা বরিশাল-পটুয়াখালীসহ দেশের ৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে দুটি মৃত কচ্ছপ বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার হলেন কবি বিজন বেপারী রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে : লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাথে এসএম জাকিরের মতবিনিময় সুধীজনদের সন্মানে  চরফ্যাশন রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ইফতার মাহফিল  হার্ডলাইনে পুলিশঃ এবার বরিশালে পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য চলবেনা

‘অপারেশন সুন্দরবন’ এ নতুন এক টিপুকে খুজে পাবে দর্শক

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

আব্দুল্লাহ আল মামুন (এ আল মামুন), বিনোদন ডেস্কঃ

খায়রুল আলম টিপু, বর্তমান সময়ের একজন ব্যাস্ততম অভিনেতা হিসেবে সু পরিচিত মিডিয়া জগতে। গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ হলেও জন্মসূত্রে তিনি ঢাকার বাসিন্দা, ১৯৬৯ সালে ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করা খায়রুল আলম টিপু স্কুল জীবনে তার থিয়েটার করা বন্ধুদের সাথে থিয়েটার ঘুরতে যেতো, এভাবে ঘুরতে যেতে যেতেই একসময় নিজেও নাম লেখান থিয়েটার কর্মী হিসেবে, পরবর্তীতে বাবার উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা পেয়ে নিজেকে পুরোটাই বিলিয়ে দিয়েছেন অভিনয়ের মাঝে। সেই ১৯৮৩ সালের কথা এটা, যখন তিনি অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। এরপর ১৯৯১ সাল থেকে তিনি লোক নাট্যদলের সাথে সম্পৃক্ত হন এবং নিয়মিতভাবে মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন। তার অভিনয়ের জীবনটা মঞ্চ থেকে শুরু হলেও মঞ্চে তিনি বেশিদিন কাজ করতে পারেন নি, তার অভিনয় গুন তাকে নিয়ে আসে টিভি নাটকে। তবে শত ব্যাস্ততা থাকা সত্বেও মঞ্চ টাকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেন নি খায়রুল আলম টিপু, এখনো মাঝে মধ্যে সুযোগ পেলেই কাজ করে যাচ্ছেন মঞ্চে, তবে অধিক ব্যাস্ত থাকেন টিভি নাটক ও চলচ্চিত্র নিয়ে। ইতিমধ্যে অনেক টিভি নাটক ও ওয়েবফিল্মে অভিনয় করে হয়েছেন প্রশংসনীয়। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে খায়রুল আলম টিপু অভিনীত চলচ্চিত্র “অপারেশন সুন্দরবন”।

আমাদের প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে এই অভিনেতা “অপারেশন সুন্দরবন” চলচ্চিত্র ও এই ছবির শুটিং নিয়ে কিছু কথা বলেন।

খায়রুল আলম টিপু বলেন – “সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত দীপংকর দীপন পরিচালিত ও র‍্যাব প্রযোজিত বহুল আলোচিত “অপারেশন সুন্দরবন” চলচ্চিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছি আমি। এ গল্পে আমার চরিত্র হচ্ছে র‍্যাবের ডিএডি(ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর)। আমাকে কখনো কখনো মনে হবে একটু ফানি আবার কখনো সিরিয়াস!কমেডিও না আবার সিরিয়াস কিছুও না। টানটান উত্তেজনায় ভরা এ গল্পে আমার চরিত্রটি রিলিফ দেবে। আমার চরিত্রটি নিয়ে দর্শক প্রতিক্রিয়া পেয়ে আমি উচ্ছ্বসিত। দর্শক এখন যেভাবে বাংলা সিনেমাকে সাপোর্ট করছেন এভাবে চলতে থাকলে সিনেমার হারানো দিন ফিরে আসবে”।

টিপু আরো বলেন – “সুন্দরবনের কথা বললে তো শেষ করা যাবে না! অনেক প্রতিকুলতার ভিতর দিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়েছে। প্রথমত সমস্যা ছিলো জোয়ার ভাটা। সময়টাকে ধরে আমাদের কাজ করতে হয়েছে, একটু এদিক সেদিক হলেই আমরা ভাটায় আটকে গেছি, এমন কয়েকবার ঘটেছে, তার উপর তো বাঘের ভয় ছিলোই। একদিন বনের ভিতরে শুটিং এ নেমেই নাকে ভেসে আসে বাঘের উৎকো গন্ধ, অর্থাৎ বাঘ আশেপাশেই আছে, তবে এক্ষেত্রে র‍্যাব ছিলো তৎপর!শুটিংয় চলাকালে র‍্যাব চতুর্পাশে গার্ড দিয়ে রাখতো। নেটওয়ার্কের সমস্যাতো ছিলোই, এই নেটওয়ার্ক নিয়ে আছে না না রকম মজার ঘটনা! যা বলে শেষ করা যাবে না। ”

টিপুর ভাষায় – “অপারেশন সুন্দরবন” অসাধারণ একটি সিনেমা, দর্শক এই সিনেমায় নতুন এক টিপুকে খুজে পাবে। “অপারেশন সুন্দরবন” সিনেমা দর্শকদের শতভাগ ভালো লাগার সিনেমা হবে এটাই আমি বিশ্বাস করি।

সর্বশেষ