১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনী কল্যান সংস্থা (অসকস) পটুয়াখালীর আয়োজনে আলোচনা সভা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মির্জা আহসান হাবিব ঃ অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনী কল্যান সংস্থা (অসকস) পটুয়াখালীর আয়োজনে আলোচনা সভা
অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০ পটুয়াখালী সরকারী কলেজ মিলনায়তনে অসকস সহসভাপতি সাজেন্ট মোঃ আবদুল মান্নান মিয়া (অবঃ)‘র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অসকস পটুয়াখালীর সভাপতি কর্পোরাল মোঃ খলিলুর রহমান (অবঃ) । বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অসকস সদর উপজেলা সভাপতি সাজেন্ট মোঃ আঃ সালাম শরিফ (অবঃ), অসকস দুমকি উপজেলা সভাপতি সাজেন্ট ফজলুল হক, অসকস বাউফল উপজেলা সভাপতি কর্পোরাল মোঃ জাকির হোসেন, অসকস রাঙ্গাবালী উপজেলা সভাপতি কর্পোরাল আবুল কালাম আজাদ, অসকস মির্জাগঞ্জ উপজেলা সভাপতি সাজেন্ট মোঃ মতিয়ার রহমানসহ পটুয়াখালী জেলার অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনী কল্যান সংস্থা (অসকস) এর অন্যান্য নের্তৃবৃন্দ।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অসকস পটুয়াখালী জেলা সাধারন সম্পাদক সাজেন্ট সৈয়দ আমির আলী(অবঃ)। এ সময় বক্তরা বলেন-
আমরা যারা এর সাথে যুক্ত হযয়েছি তারা সকলেই অতি ভাগ্যবান। এখনো যারা আমাদের সাথে যুক্ত হতে পারে নাই তাদেরকে আমাদের সাথে সংযুক্ত করার জন্য আরও পরিশ্রম করতে হবে।খেয়াল রাখবেন অনেকে আমাদের অনেক আগে বিভিন্ন পদবীতে পেনশন এসেছেন। আমরা যেন কোনভাবে আমাদের পূর্ববর্তী সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ না করি। মনে রাখবেন সম্মান পেতে হলে অপরকে সম্মান দিতে হয়।আমরা সকলে ব্যক্তিগত ভাবে লাভবান হওয়ার চিন্তা বাদ দিযয়ে সমষ্টিগত ভাবে কিভাবে লাভবান হওয়া যায় সেই চিন্তা করে আগে আমাদের সবার সংগঠনকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দিতে হবে এবং প্রতিষ্ঠিত হতে সময় দিতে হবে। আমাদের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত স্বার্থেই সংগঠনের সাথে যোগ দেওয়া একান্ত জরুরী প্রয়োজন। কারণ আমরা যদি কোন সংগঠনের সাথে একত্রিত হয়ে থাকতে পারি তাহলে আমাদের কেউ আঘাত করতে পারবে না আমরা যে কোন প্রয়োজনে একজন অন্যজনকে কাছে পাবে আর যদি যার যার মত একা একা অবস্থান করি তাহলে আমাদের বিপদে হয়তো কাউকে পাশে পাবো না। আমাদের সংগঠন ইতিপূর্বে ভোলা মাদারীপুর খুলনা সহ বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতিত অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোর কারণে অপরাধীদের শান্তির আওতায় আনা সম্ভব হযয়েছে। আমরা দেখেছি আমরা সকলে মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা রাশেদ স্যারের পরিকল্পিত হত্যার বিচারের দাবীতে একত্রিত হযয়ে অবস্থান নেওয়ার কারণে অপরাধীরা অনেক শক্তিশালী ও প্রভাবশালী হওয়া সত্ত্বেও বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
কেউই ভুলের উর্ধ্বে নয় তাই আমরা যেন কোন কাজ করার পূর্বে এবং কথা বলার পূর্বে সর্তকতা অবলম্বন করি।কেহর কোন দোষ ত্রুটি পেলে এটাকে ইস্যু না বানিয়ে সংগঠনের স্বার্থে ভুলে গিয়ে একত্রিত হয়ে কাজ করার মানসিকতা তৈরি করি। আমাদের হয়তো ব্যক্তিগত ভাবে কোন রাজনৈতিক দল পছন্দ থাকতে পারে কিন্তু আমাদের খেয়াল রাখতে হবে আমরা সকলে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য। তাই আমরা সকলে সকলের প্রতি সর্বদা সহানুভূতিশীল হব।
আমাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ইতিপূর্বে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকার প্রধানের নিকট উত্থাপিত হয়েছে আশা করি এর সুফল আমরা অতি শীঘ্রই পাবো। আমাদের পটুয়াখালী জেলা সংগঠনের দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে আছে তাই আমাদেরকে সবাইকে সংগঠনের জন্য আরো বেশি বেশি কাজ করতে হবে। আমাদের এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হলে এর সুফল আমরা সকলেই পাব ইনাআল্লাহ।
আমি আমার বক্তব্য আর দীর্ঘায়াতত করবো না আবারও আমি আপনাদের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।

সর্বশেষ