আব্দুল্লাহ আল মামুন (এ আল মামুন) বিনোদন ডেস্কঃ
ইন্ডাস্ট্রিতে সবসময়ই একটি চক্র বাস করে যারা একসময় অশ্লীল সিনেমা নির্মাণ করেছে। তারা এখনো আছে, ইন্ডাস্ট্রি নিয়ন্ত্রণ করছে। সবচেয়ে আনন্দের সংবাদ এবার দু-একজন অশ্লীল সিনেমার প্রযোজক নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। একজন প্রায় আটটির বেশি অশ্লীল সিনেমা নির্মাণ করেছে। কিন্তু তিনি আবার প্রযোজক সমিতির নেতৃত্বও দেয়। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি নষ্ট করেছে কিছু চামচা প্রযোজক। এ থেকে যতদিনে উত্তরণ না হবে ততদিনে ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা ভালো হবে না।
তবে স্বস্তির খবর এবার অশ্লীল প্রযোজকরা নেতৃত্ব হারাচ্ছে। এটি ইন্ডাস্ট্রির জন্য খুবই ভালো খবর। আজকের ইন্ডাস্ট্রির দূর অবস্থা অশ্লীল প্রযোজকদের জন্যই। অথচ এই অশ্লীল প্রযোজকদের কিছু লোক চামচামি করে মাথায় তুলে রাখে। এরা নেতৃত্বের জন্য মরিয়া হলেও সিনেমা প্রযোজনায় অনিয়মিত। এদের ছাড়া যদি এবার নির্বাচন হয় ইন্ডাস্ট্রি ভালো দিকে যাবে বলে আশা করি। ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কারো নাম উল্লেখ না করলেও এভাবেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেন প্রযোজক মোহাম্মদ ইকবাল।
মোহাম্মদ ইকবাল নিয়মিত চলচ্চিত্র প্রযোজনা করছেন। চলতি বছর বড় পর্দায় অভিষিক্ত হবেন চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে। তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা জিয়াউল রোশান ও শবনম বুবলী অভিনীত ‘রিভেঞ্জ’র শুটিং শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এখন চলছে সম্পাদনা। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষের দিকে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। নতুন খবর হচ্ছে- সম্প্রতি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ দোকান মালিক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইকবাল।
এদিকে, ঈদুল আজহায় ঢালিউডের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তিনটি সিনেমা। দুটি সিনেমাই বেশ ভালো চলছে। সিনেমা দুটি দিয়ে দীর্ঘদিন পর দর্শক প্রেক্ষাগৃহমুখী হয়েছে। দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ দিকে এসেও সিনেমা দুটি বেশ দাপট দেখাচ্ছে। যা বাংলা সিনেমার জন্য আশার আলো মনে করছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরাও। আবার কেউ কেউ চলচ্চিত্র পরিবারকে সাম্প্রতিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য প্রশ্ন তুলেছেন।
অনন্ত জলিল ইন্ডাস্ট্রির জন্য অনেক কিছু করেছে, তার ডাকে শিল্পীদের যাওয়া উচিত ছিল উল্লেখ করে ইকবাল বলেন, সম্প্রতি নায়ক-প্রযোজক অনন্ত জলিল ৭৪ জন শিল্পীকে তার সিনেমা দেখার জন্য দাওয়াত দেন। কিন্তু সেখানে উল্লেখযোগ্য চার জনকেও দেখা যায়নি। কিন্তু তার পরই অন্য একটি সিনেমার প্রিমিয়ারে বিভিন্ন সমিতির নেতা সহ অনেক তারকাশিল্পী গিয়েছিলেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে অনন্ত জলিল কি অন্যায় করেছে? সে তো ইন্ডাস্ট্রির জন্য অনেক কিছু করেছে। তার কাছে যখনই কেউ গিয়েছেন খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি। সবাই তার কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছেন। শিল্পীদের কর্মকাণ্ড দেখে আমি একজন প্রযোজক হিসেবে সত্যিই খুব হতাশ হয়েছি।
বিগত দিনে শিল্পী সমিতিতে অনন্ত জলিল অসংখ্যবার সহযোগিতা করেছেন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, প্রযোজক, পরিচালক ও শিল্পী সমিতি সহ এফডিসির প্রায় সংগঠনকেই সহযোগিতা করেছেন তিনি। কখনো তিনি কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়নি। অথচ সবাই তাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। তার ডাকে কেউ সাড়া দেয়নি! সবারই উচিত ছিল ঝাঁপিয়ে পড়া। অনন্ত জলিলের ডাকে সাড়া না দিয়ে অন্য অনুষ্ঠানে গিয়ে এক পাল্লায় দুই রকমের বিচার হয়েছে। এই রেষারেষি ঠিক না। একটি চক্র এমনটা করতে পারে। না হলে শিল্পীরা কেন যাবে না? তবে শিল্পীরা কাজটি ঠিক করেনি৷
প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার মুক্তি পেয়েছে তিনটি সিনেমা। যার মধ্যে অনন্ত জলিলের বড় বাজেটের সিনেমা ‘দিন: দ্য ডে’, শরিফুল রাজ, বিদ্যা সিনহা মিমের ‘পরাণ’ ও জিয়াউল রোশান-পূজা চেরির ‘সাইকো’।