নরসিংদীর রায়পুরা পৌর এলাকার তাত্তাকান্দায় দুর্বৃত্তের আগুনে একটি টিনের ঘর ভস্মীভূত হয়ে গেছে। রবিবার রাত ২টায় এঘটনা ঘটে বলে জানান ভুক্তভোগী কলেজশিক্ষক আব্দুস সাত্তার। ওই সময় ঘরে থাকা খড়ের মাধ্যমে আগুন মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রাত ৩টায় রায়পুরা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে একঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী আব্দুস সাত্তার জানায়, পশু কোরবানি শেষে রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির সকল সদস্য ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ রাত ২টায় ঘুম ভাঙলে তার মা দেখতে পান রাস্তার পাশে গো-খাদ্য রাখার ঘরে আগুন জ্বলছে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস ও বাড়ির লোকজনের একঘণ্টার প্রচেষ্টায় রাত ৪টায় আগুন নিয়ন্ত্রয়ে আসে। তিনি আরো জানান, দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবেশী মৃত মিন্নাত আলীর পাঁচ ছেলের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। সাম্প্রতিক আমার ও চাচাদের জমির ওপর দিয়ে মিন্নাত আলীর ছেলেরা বাড়িতে যাওয়া-আসার রাস্তা দাবি করেন। তাতে আপত্তি জানালে আবারও নতুন করে বিরোধ দেখা দেয়। এরই জের ধরে রাতে মিন্নাত আলীর বাড়ির লোকজন ঘরে আগুন দিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
মৃত মিল্লাত আলীর ছেলে মুফতি আব্দুল কাদের মোল্লা জানায়, জমির নকশায় রাস্তা থাকা সত্ত্বেও ১৫টি পরিবারকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা দিচ্ছে না কলেজশিক্ষক সাত্তার। সরকারি রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করেছেন তারা। তিনি আরো জানান, পৌর কর্তৃপক্ষ রাস্তা নির্মাণের জন্য টেন্ডারের অনুমোদন দিয়েছে। এজন্যই তারা নিজেরা ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের ফাঁসাতে চাচ্ছে।
রায়পুরা পৌর কাউন্সিলর আরিফুর রহমান বাবু জানায়, জমি ও রাস্তা নিয়ে প্রতিবেশী দুটি পরিবারের মধ্যে বছর দুয়েক ধরেই বিরোধ চলছে। এনিয়ে একটি গ্রাম্য সালিস বসানো হয়। তাতেও কোনো সমাধান হয়নি। তিনি আরো জানান, আগুনে ঘর পোড়ার ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এব্যাপারে আমি দুটি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই কথা বলব।