শফিকুল ইসলাম, বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়নে মৎস্যজীবি,মৎস্য ব্যবসায়ী, আড়তদার ও ক্রেতাদের সচেতন করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার বিকালে বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে উপজেলা মীরগঞ্জ বাজারে সচেতনতা সভার আয়োজন করা হয়েছে। উপজেলা মৎস্য সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ আমির আলী সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাবুগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সাইদুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ লতিফ, ইউপি সদস্য মোঃ পুতুল, রহিমা বেগম, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা জামাল মুন্সি, জেলে কবির হোসেন প্রমুখ।
এসময় বাবুগঞ্জ এলাকার জেলেরা বলেন,
ঋণের টাকা দিয়ে জাল ও নৌকা তৈরি করে। মাছ বিক্রি করে সেই ঋণের টাকা পরিশোধ করা হয়।
তবে ব্যাংক ও এনজিও থেকে নেয়া ঋণের টাকা পরিশোধের চাপ থাকে তাদের ওপর। তাই দেনা থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে মাছ শিকারে নামেন অনেকেই।
এ কারণে অবরোধের ২২ দিন ব্যাংক ও এনজিও থেকে নেয়া ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন বাবুগঞ্জ জেলেরা।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সাইদুজ্জামান বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুম নিরাপদ করতে আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধসময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, পরিবহন, কেনাবেচা, বিনিময় ও মজুদ নিষিদ্ধ করেছে সরকার
প্রতি বছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে মিলিয়ে মোট ১৫ থেকে ১৭ দিন হচ্ছে ইলিশের ডিম ছাড়ার আসল সময়। এ সময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নদ-নদীতে ছুটে আসে। এ সময়কে বিবেচনায় নিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ সময় ইলিশকে স্বচ্ছন্দে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতেই সরকার দেশের সব নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ইলিশ ধরা বন্ধ থাকাকালে সারা দেশের তালিকাভুক্ত জেলেদের ভিজিএফ সহায়তা দেওয়া হবে। সরকারের নির্দেশ অমান্য করে কেউ যাতে এ সময় মাছ ধরতে নামতে না পারে, সেজন্য নদ-নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করা হবে। যারা মৎস্য সম্পদের বিকাশের পথে বাধা, আমাদের পুষ্টি ও আমিষের দুর্জয় সাফল্যের পথে বাধা দেবে তাদেরকে কোনোভাবে আমরা ছাড় দেবো না।’