২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমতলীতে আমন ধানের বীজ কিনতে কৃষকের নাভিশ্বাস

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হারুন অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলীতে আমন জাতের ধানের বীজের সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম দেয়ায় বীজ সংকটে পড়েছে উপজেলার প্রায় অর্ধেক কৃষক। শেষ মুহুর্তে বিআর-২৩ আমন জাতের ধানের বীজ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন মজুদ করা কৃষকরা। বাধ্যহয়ে কৃষকরা সেই মজুদ করা আমন বীজ ধান বেশী দামে কিনে নিচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, আমতলীতে এ বছর আমন ধান চাষাবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। ওই জমির আবাদের জন্য বীজ ধান প্রয়োজন ৫৮০ মেট্রিক টন। লক্ষমাত্রার জমির মধ্যে থেকে অর্ধেক জমির কৃষকরা জমি আবাদ করে বীজ রোপন করলেও বাকী অর্ধেক জমি বীজ ধানের সংকটের কারনে এখন পর্যন্ত বীজ রোপন করতে পারেনি। এ অর্ধেক জমি রোপনের জন্য ২৯০ মেট্রিকটন বীজ ধানের প্রয়োজন রয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় উপজেলার ৯৫% কৃষক বিআর-২৩ জাতের বীজ ধান চাষাবাদ করে থাকেন। উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী ২৯০ মেট্রিকটন আমন জাতের বীজ ধানের বরাদ্দ চেয়ে পটুয়াখালী বিএডিসি কর্তৃপক্ষকে চাহিদা পাঠায়। কিন্তু বিএডিসি কর্তৃপক্ষ মাত্র ৫৮ মেট্রিক টন বীজ ধান সরবরাহ করে। এতে বীজ সংকটে পরে উপজেলার প্রায় অর্ধেক কৃষক।

আষাঢ় মাসের শেষ ও শ্রাবনের শুরুতে আমনের বীজতলার জন্য বীজের চাহিদা থাকলেও কৃষকরা উপজেলা শহরে ও বিভিন্ন ইউনিয়নের ছোট বড় বাজারগুলোতে বীজের দোকানে হন্যে হয়ে ঘুরেও বিআর-২৩ জাতের বীজ পাচ্ছেন না।

অপরদিকে আজ (বুধবার) উপজেলা শহরের নতুন বাজারে গিয়ে দেখাগেছে, বিআর-২৩ জাতের খোলা ধানের বীজ প্রতি কেজি ১০০ টাকা দামে বিক্রি করছেন মজুদ করা কৃষককরা। বীজের দোকানে বিআর-২৩ জাতের ধানের বীজ না পেয়ে কৃষকের মজুদ করা বীজ ধান বেশী দামে কিনে নিচ্ছেন।

হলদিয়ার কৃষক মোঃ ঝন্টু তালুকদার বলেন, স্থানীয় বাজারের দোকানে ঘুরে কোথায় বিআর- ২৩ জাতের ধানের বীজ না পেয়ে আজ আমতলী আসছি। এখানেও কোন দোকানে ধানের বীজ পাচ্ছি না। বাধ্যহয়ে বাজারে বিক্রি করতে আসা এক মজুদ করা কৃষকের কাছে থেকে ৭ কেজি খোলা বীজ ১০০ টাকা দরে ক্রয় করেছি।

সদর ইউনিয়নের কৃষক আঃ আলম প্যাদা বলেন, আমার বাড়ীতে মজুদ করা ১ মন বিআর -২৩ জাতের ধানের বীজ বাজারে বিক্রির জন্য এনেছিলাম। মুহুর্তের মধ্যেই সব বীজ ধান ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে ফেলেছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম মুঠোফোনে বীজ সংকট ও বেশী দামে বীজ বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমতলীতে বিআর-২৩ জাতের ধানের বীজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ২৯০ মেট্রিকটন আমন জাতের বীজ ধানের বরাদ্দ চেয়ে পটুয়াখালী বিএডিসি কর্তৃপক্ষকে চাহিদা পাঠালেও তারা মাত্র ৫৮ মেট্রিক টন বীজ ধান সরবরাহ করে। এতে বীজ সংকটে পরে উপজেলার প্রায় অর্ধেক কৃষক।

সর্বশেষ