বরগুনা প্রতিনিধি ::: বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের এক গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিলে রাজি না হওয়ায় ওই নারীর পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মনির ফকির (৪৫)। তিনি উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব চুনাখালী গ্রামের বাসিন্দা আকব্বর ফকিরের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ওই নারীর স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। বাড়িতে তিনি তার দুই ছেলেসন্তান নিয়ে বসবাস করেন। বাড়িতে স্বামী না থাকার সুযোগে পার্শ্ববর্তী পূর্ব চুনাখালী গ্রামের মনির দীর্ঘদিন ধরে ওই নারীকে বিভিন্নভাবে অনৈতিক সম্পর্কের জন্য কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নারীর পরিবারকে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে সে। এতে ভয় আর আতঙ্কে দুই সন্তান নিয়ে নিজের ঘরেও থাকতে পারছেন না ওই নারী।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বলেন, মনির ফকির আমার ওপর অনেক অত্যাচার করতে আছে। তার কথা আমি মানি নাই। তারপর অনেক ধমকি-ধামকি দেহাইতেছে। তোমার ভাইরে মাইরালাম, তোমার পোলাপান মাইরালামু ইত্যাদি। ওর জ্বালায় নিজের ঘরেও থাকতে পারি না। দুই পোলা লইয়া এহন মানুষের বাড়ি থাহি। আমি এইয়ার বিচার চাই, বিচার চাই।
গৃহবধূর ভাই বলেন, আমার বুইন জামাই ঢাকা থাহে। বুইনে দুই পোলা লইয়া বাড়ি থাহে। মনির ফকির আমার বুইনেরে ধমকায়। ওর জ্বালায় আমি বুইনেরে একবার ঢাকায়ও পাঠাইছি। বাড়িতে আইয়া ও থাকতে পারে না।
ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী বলেন, আমার বউ বাড়িতে থাকে দুই পোলা লইয়া। আমি ঢাকায় চাকরি করি। মনির ফকির আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দেয়। রাজি না হইলে ভয়ভীতি দেখায়। আমি একবার ঢাকা নিয়েও রাখছি। বাড়ি আইসা থাকতে পারে না। মনির ফকিরের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ।
অভিযুক্ত মনির ফকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি যদি দোষী হইয়া থাকি, কেউ প্রমাণ দিতে পারে, দেশের আইনে যা বিচার হয় আমি মাথা পাইত্তা নিমু।
আমতলী থানার ওসি কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।