১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

আমতলীতে নৌকার সমর্থন না করায় বৃদ্ধকে কান ধরে ওঠবস

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরগুনা প্রতিনিধি :: বরগুনার আমতলী উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে সমর্থন না দেওয়ায় প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা, নির্যাতন ও স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই কারণে স্থানীয় এক বৃদ্ধকে তার স্বজনদের সামনে কান ধরে ওঠবস করানো হয়। এ ঘটনার পর মহিবউল্লাহ কিরণ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে চাওড়া পাতাকাটা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়েছে। ওই নির্বাচনে চাওড়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আখতারুজ্জামান বাদল খান স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মহসিন হাওলাদারকে পরাজিত করেন। এরপর বাদল খানের মামাতো ভাই উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুব ইসলাম ও হত্যা মামলার আসামি মহিবউল্লাহ কিরণের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন সমর্থক ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় পাতাকাটা গ্রামের কুদ্দুস হাওলাদারের বাড়িতে তাণ্ডব চালায় তারা। মাহবুব ও মহিবউল্লাহর নেতৃত্বে বৃদ্ধ কুদ্দুসকে সবার সামনে কান ধরে ওঠবস করানো হয়। তাকে রক্ষায় তার স্বজনরা এলে তাদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করে নৌকার সমর্থকরা। এ সময় তারা উল্লাস করে। পরে তারা কুদ্দুসের ঘরের আলমিরা ভেঙে নগদ ১৮ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় তারা। গত তিন দিনে ওই ইউনিয়নের পাতাকাটা, চন্দ্রা, চালিতাবুনিয়া ও তালুকদার বাজার এলাকার অন্তত ২০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও মালপত্র লুট করেছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী। কুদ্দুস হাওলাদারকে কান ধরে ওঠবস করানোর ঘটনায় বুধবার থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে বরগুনা ডিবির ওসি আবিদুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মহিবউল্লাহ কিরণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কুদ্দুস হাওলাদার বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন না করায় চেয়ারম্যানের লোকজন আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আলমিরা ভেঙে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। আমাকে কান ধরে ওঠবস করিয়েছে তারা। এ সময় বাড়ির বউদের মারধর ও শ্নীলতাহানি করা হয়েছে।

চালিতাবুনিয়া গ্রামের সোয়েব গাজী বলেন, নির্বাচনে নৌকায় সমর্থন না করায় ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুব ইসলাম আমাকে মারধর করে আমতলী ছাগলের বাজার থেকে দুটি ছাগল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

মাহবুব ইসলাম সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার মানসম্মান ক্ষুণ্ণ করতেই এ অভিযোগ আনা হয়েছে।

চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খান বলেন, মাহবুব ইসলাম ও আমার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। তাদের হয়রানি করতেই এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।

বরগুনা ডিবির ওসি আবিদুর রহমান বলেন, মহিবউল্লাহকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আমতলী থানার ওসি শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ