৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমতলীতে পাওনা টাকা নিয়ে দুই ব্যবসায়ী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৫

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

রেজাউর করিম,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি :: বরগুনার আমতলী উপজেলার চুনাখালী বাজারে দুই ’ব্যবসায়ী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ ব্যবসায়ী আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের আমতলী ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টার দিকে চুনাখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে- পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়া পুর এলাকার ভাসমান পাইকারী ব্যবসায়ী মোঃ জাকারিয়া আমতলী উপজেলার কুকুয়া গ্রামের ক্ষুদ্র ভাসমান ব্যবসায়ী সবুজের কাছে ৮৩ হাজার টাকা পায়। এ টাকা শনিবার চুনাখালী বাজারে চাইতে গেলে সবুজ টাকা দিবে না বলে অস্বীকার করে এমন দাবী পাইকারী ব্যবসায়ী জাকারিয়ার। এদিকে সবুজ দাবী করেন পাইকারী ব্যবসায়ী জাকারিয়া পণ্যের দাম বাজার মুল্যের চেয়ে বেশী দামে বিক্রি করেছে। এ নিয়ে সবুজ ও জাকারিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ খবর বাজারে ছড়িয়ে পরলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়া এলাকার ব্যবসায়ী ও আমতলী উপজেলার কুকুয়া এলাকার ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়। পরে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তের মধ্যে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। গুরুতর আহত আরিফ, সবুজ, সোহেল, সোবাহান, মোতালেক হাওলাদার, এজাজুল ও ফারুককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, দুই গ্রুপ ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষে অনেক ব্যবসায়ী আহত হয়েছে।

পাইকারী জাকারিয়া বলেন, কুকুয়া এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সবুজের কাছে আমি ৮৩ হাজার টাকা পাই। ওই টাকা চাইতে গেলে আমাকে মারধর করেছে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোঃ সবুজ বলেন, পাইকারী ব্যবসায়ী জাকারিয়া পণ্যের দাম বেশী রাখায় আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে মারধর করেছে। এ নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়।

চুনাখালী বাজার ইজারাদার মোঃ সুলতান আহম্মেদ মাষ্টার বলেন, দুই ’গ্রুপ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।’’

আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) রনজিত কুমার সরকার বলেন, বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’

সর্বশেষ