আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি :: বরগুনার আমতলীর টেপুরা গ্রামে বুধবার দুপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামী স্ত্রীর হামলায় ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদেরকে স্তানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসে। এর মধ্যে গুরুতর ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, টেপুরা গ্রামের জহিরুল ইসলাম ও ইব্রাহিম ডাক্তারের মধ্যে ৩ বিঘা জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষ আমতলী থানায় অভিযোগ দেয়। অভিযোগ পেয়ে আমতলী থানার এসআই শুভ বাড়ৈই বুধবার সকালে একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। দুপুর ১২ টার সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর মানসিক ভারসাম্যহী স্বামী আনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী সালেহা বেগম আকস্মিক জহিরুল ইসলামসহ তার পক্ষের ৫ জনকে ধারালো দা এবং ছুরি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। জখমের পর এক পর্যায়ে তারা নিজেদের ঘুরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে নিজেদের শরীরে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাত্ব জখম হন। আহত ৭ জনকেই স্থানীয়রা আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসে। আহতরা হল নেরেজা বেগম, (৫০), আফরোজা বেগম (৫০),রাসেল (৩০), লাকি বেগম (৩৫) ও জহিরুল ইসলাম (৬০)।
আহদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় রাসেল, আফরোজা এবং নেরেজাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলাকারী সালেহা ও আনোয়ার হোসেনসহ অন্যদের আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এসঅই শুভ বাড়ৈ জানান, বুধবার সকালে বিরোধীয় জমির তদন্ত শেষে আমরা চলে আসার পর মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামী আনোয়ার হোসেন ও স্ত্রী সালেহা বেগম জহিরুল ইসলামসহ তার লোকের উপর হামলা করে ৫ জন আহত করে।
হামলায় আহত জহিরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ইব্রাহিম ডাক্তারের পক্ষ নিয়ে আনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী সালেহা বেগম আমাদের লোকজনের উপর হামলা করে গুরুতর আহত করে।
আমতলী থানার ওসি তদন্ত মো. হেলাল উদ্দিন জানান, আমি হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে আহতদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।