২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমতলীতে প্রতিদ্বন্ধি দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ আহত- ১২

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হারুন অর রশিদ,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলীতে প্রতিদ্বন্ধি দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৬ জনকে বরিশাল ও পটুয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কেওয়াবুনিয়া গ্রামে।

জানাগেছে, রবিবার রাতে উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্ধি ইউপি সদস্য প্রার্থী আঃ জব্বার প্যাদা ও তার সহযোগীরা অপর প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী বর্তমান ইউপি সদস্য মোঃ জহিরুল ইসলাম মাতুব্বরের বাবা মোঃ মজিবর মাতুব্বরকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে তার পুত্রকে নির্বাচনী প্রচার- প্রচারনা থেকে সরে যেতে বলে। অন্যথায় জীবন নাশের হুমকি দেয় বলে ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম মাতুব্বর দাবী করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই প্রার্থীসহ উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছে। স্থাণীয় ও উভয়ের স্বজনরা গুরুতর আহত ইউপি সদস্য প্রার্থী জহিরুল ইসলাম মাতুব্বর, শাহারুল মাতুব্বর, মজিবুর মাতুব্বর, রাসায়ান মাদবর, অপর ইউপি সদস্য প্রার্থী আঃ জব্বার প্যাদা ও তার ভাই জালাল প্যাদাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আশংকাজনক অবস্থায় আহত শাহারুল মাতুব্বরকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতলে প্রেরণ করেন।বাকী আহতদের স্থাণীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আহত প্রতিদ্বন্ধি সদস্য প্রার্থী জহিরুল ইসলাম মাতুব্বর মুঠোফোনে বলেন, আমার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী আঃ জব্বার প্যাদা আমার বৃদ্ধ পিতাকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে আমাকে নির্বাচনী প্রচার- প্রচারনা ও নির্বাচন থেকে সরে যেতে জীবন নাশের হুমকি দেয়। এর প্রতিবাদ করলে আমার বাবাকে তারা মারধর করেছে। বাবাকে উদ্ধার করতে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে আমিসহ আমার দুই ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

প্রতিদ্বন্ধি অপর আহত প্রার্থী আঃ জব্বার প্যাদা বলেন, নির্বাচনী প্রচারনাকালে আমার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী জহিরুল ইসলাম মাদবরের বাড়ীর সামনে গেলে তারা আমার ও সমর্থকদের উপর অহেতুক হামলা চালায়। এতে আমি ও আমার ভাইকে মেরে আহত করেছে।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায়, আহত ৬ জনের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে। এদের মধ্যে শাহারুল মাতুব্বর নামে ১ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহআলম হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ