১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমতলীতে বিক্রি হচ্ছে না কোরবানির পশুর চামড়া

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হারুন অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলীতে কোরবানির গরু ও ছাগলের চামড়া বিক্রি হচ্ছে না। চামড়া বিক্রি করতে না পাড়ায় এবার যারা কোরবানি দিয়েছেন তারা সেগুলো মাদরাসা ও এতিমখানায় দান করে দিচ্ছেন।
উপজেলা সদর ও পৌর শহরের আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন খান, সোহেল মৃধা, খোরশেদ আলম, গরু কোরবানি করেছেন। এদের কেউই গরুর চামড়া বিক্রি করতে পারেননি। উপায় না পেয়ে তাদের কোরবানির পশুর চামড়া এতিমখানা ও মাদরাসায় দান করেছেন।
বাজারে গরু ও ছাগলের চামড়ার কোনো মূল্য না থাকায় এখন আর কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে চাইছে না বেপারিরা। দু’এক জন ব্যাপারী চামড়া কিনতে চাইলেও পশুর সাইজ দেখে দাম বলেছে। ছাগল ১০ থেকে ২০ টাকা ও গরুর ৫০ থেকে ১০০ টাকা। এত কম দাম শুনে কোন উপায় না পেয়ে এবার যারা কোরবানি দিয়েছেন তাদের পশুর চামড়াগুলো এতিমখানা ও মাদরাসায় দান করে দিয়েছেন। এ উপজেলায় সকলেরই এমন অবস্থা বলে জানাগেছে।
আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর বন্দরের নিজাম উদ্দিন ও চাওড়া ইউনিয়নের আলতাফ হোসেন হাওলাদার জানান, এবার কোরবানি ঈদে বেপারিরা কেউ চামড়া কিনতে আসছে না। কোনো উপায় না পেয়ে স্থানীয় একটি হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় দান করে দিয়েছি।

উপজেলার বেশ কয়েক জন চামড়া ব্যবসায়ী জানান, মিডিয়াম সাইজের একটি গরুর চামড়ার মূল্য ৫০ টাকা আর বড় সাইজের গরুর চামড়ার মূল্য ১০০ টাকা। তদ্রুপ ছাগলের একটি চামড়ার মূল্য ১০ থেকে ২০ টাকা। তারপরে চামড়াগুলো ভালো হলে কিনবে, আর না হলে তা কিনবে না।
আমতলী নতুন বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন রশিদিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার পরিচালক মাওলানা মোঃ মোকসেদুল্লাহ জানান, বাজারে চামড়ার দাম না থাকায় এবার যারা কোরবানি দিয়েছেন তাদের পশুর ৯১টি গরু ও ছাগলের চামড়া তার প্রতিষ্ঠানে দান করেছেন। তিনি আরো জানান, আমতলী পৌর শহরসহ উপজেলায় প্রায় শতাধিক মাদরাসা ও এতিমখানায় কোরবানি দেয়া পশুর অধিকাংশ চামড়া দান করেছেন।
মাংস বিক্রেতা শাহজাহান দুয়ারী বলেন, বাজারে পশুর চামড়ার বেচাকেনা না হওয়ায় জবেহ করা পশুর চামড়া কশাই খানার পিছনের খালে ও মাটিতে পুতে ফেলতে বাধ্য হচ্ছি।

দাম কমের কারণ হিসেবে চামড়ার ব্যাপারী আঃ মালেক বলেন, পশু চামড়া ব্যবসায় বাজারে এখন আর কোনো লাভ নেই। একেকটি পশুর চামড়া কিনে আমাকে ১০০ থেকে ১৫০ টাকার লবণ লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর বিক্রি করতে গেলে আমি তা ১৫০ থেকে ২০০ টাকার বেশি দামে বিক্রি করতে পারবো না। তাই এবার কোরবানিতে চামড়া কিনিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন মুঠোফোনে বলেন, বাজারে কোরবানি পশুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে না এ বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি যেনে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

সর্বশেষ