১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

আমতলীতে মরা গরু মাটি চাপা দেওয়ার কথা বলে অন্যাত্র নিয়ে মাংস বিক্রি!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হারুন অর রশিদ. আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলীতে অসুস্থ্য হয়ে মরে যাওয়া গরু অন্যাত্র নিয়ে মাটি চাপা দেওয়ার কথা বলে সেই গরুর মাংস কম মূল্যে স্থাণীয়দের কাছে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে রিপন রাঢ়ি নামে এক প্রত্যারকের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী মরা গরুর মাংস বিক্রেতা প্রত্যারক রিপন রাঢ়ীর কঠোর শাস্তির দাবী করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহিষডাঙ্গা গ্রামের নান্টু হাওলাদারের একটি ষাড় বাছুর গরু রোগাক্রান্ত হয়ে গত ২৩ মে মারা যায়। একই ইউনিয়নের ভায়লাবুনিয়া গ্রামের আলতাফ রাঢ়ীর ছেলে রিপন রাঢ়ী গরুটির চামড়া খুলে মাটি চাপা দেয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। রিপন রাঢ়ী কৌশলে মৃত্যু হওয়া গরুটিকে মাটিচাপা না দিয়ে জবেহ করে প্রতিকেজি মাংস ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে স্থাণীয়দের কাছে বিক্রয় করেন। এতো কম মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করায় গ্রামবাসীর সন্দেহ হলে গ্রামবাসীরা বিষয়টি জানতে চাইলে রিপন রাঢ়ী বলেন, গরুর নাড়িভুড়িতে প্যাচ পরে যাওয়ার ৫ হাজার টাকায় ওই গরুটি তিনি ক্রয় করেছে। এজন্য তিনি কম মূল্যে মাংস বিক্রি করছেন।

পরে স্থাণীয়রা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন রিপন রাঢ়ী পার্শ্ববর্তী মহিষডাঙ্গা গ্রামের নান্টু হাওলাদারের অসুস্থ্য হয়ে মরে যাওয়া বাছুর গরুটি মাটি চাপা দেওয়ার কথা বলে নিয়ে এসে সেই গরুর মাংস এলাকার মানুষের কাছে বিক্রি করেছেন।

মৃত্যু গরুর প্রকৃত মালিক নান্টু হাওলাদার বলেন, আমার বাছুর গরুটি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ্য ছিল পরে যখন গরুটি মারা যায় তখন রিপন রাঢ়ী আমার কাছে এসে গরুটির চামড়া খুলে মাটি চাপা দিবে বলে এমন কথা বললে আমি গরুটি তাকে দিয়ে দেই। এখন শুনি রিপন রাঢ়ী গরুটি মাটিতে চাপা না দিয়ে প্রত্যারনা করে সেই মাংস কেজি হিসেবে বিক্রি করেছেন।

অভিযুক্ত রিপন রাঢ়ীর বাবা আলতাফ রাঢ়ী বলেন, গরুটি মৃত্যু ছিল কিনা তা আমার জানা ছিল না।

ওই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন মালাকার বলেন, মরা গরুর মাংস বিক্রি করার কথা শুনে খোঁজ-খবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে যারা যারা মরা ওই মরা গরুর মাংস কিনেছেন তাদেরকে মাংস না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে রিপন রাঢ়ী পলাতক রয়েছে। ওর সঠিক বিচার হওয়া দরকার।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। রিপন রাঢ়ীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, গ্রামবাসীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমতলী থানার ওসিকে বলা হয়েছে। #

সর্বশেষ