হারুন অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদের কম্পাউন্ডের ভিতরের মুল্যবান মেহগিনি গাছটির সন্ধান মিলেছে।উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডের জায়গা পরিমাপ করে জানা যায় স্হানটি উপজেলা পরিষদের নয় জেলা পরিষদের। এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি।
জানাগেছে, বৃহস্পতিবার (১৩ মে) অফিস বন্ধ হয়ে গেলে রাতের আধারে দূবৃত্তরা পরিষদের কম্পাউন্ডের ভিতরের মুল্যবান একটি মেহগিনি গাছ কেটে নিয়ে যায়। এলাকাবাসীর প্রশ্ন অফিস কম্পাউন্ডের মধ্য থেকে কিভাবে, কে বা কারা এ গাছটি কেটে নিয়ে গেছে? রবিবার রাতে মেহগিনি গাছটির তিনটি টুকরা পৌরশহরের পান্নুর স-মিলে পাওয়া যায়। পান্নুর স-মিলে গিয়ে জানা যায়, গাছটি ¯’ানীয় কাঠ ব্যবসায়ী বিমল কংশ বনিক রিয়াজ মুন্সীর কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় ক্রয় করেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, আমি সার্ভেয়ারের মাধ্যমে মাপ দিয়ে জানতে পারি গাছের স্হানের জায়গাটি জেলা পরিষদের। এ বিষয়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন, পরিষদের ভেতরের মুল্যবান গাছটি কেটে নেয়ায় ঘটনা অত্যান্ত দুঃখজনক। এটা কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায়না। প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি।
আমতলী উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, এ গাছটি উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে লাগানো হয়েছে। জেনে এসেছি জায়গাটিও উপজেলা পরিষদের। তাছাড়া জেলা পরিষদের জায়গা হলেও কোন টেন্ডার ছাড়া কিভাবে কাটে এটা আমার জানা নেই। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান উপজেলা প্রধান হয়েও এর কোন ব্যবস্হা নিচ্ছে না, এর পিছনে কি কারণ থাকতে পারে আমি জানিনা। কিছুদিন পূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেশ কিছু গাছ কেটে নিলেও তারও কোন ব্যবস্হা নেয়া হয়নি। এভাবে চলতে থাকলে পরিবেশের ও সরকারের ব্যাপক ক্ষতি হবে আমার বিশ্বাস।
