২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমতলী বকুলনেছা মহিলা কলেজে মানব বন্ধনে হামলা । একজন গ্রেফতার।

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হারুন অর রশিদ. আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ফোরকান মিয়ার অপসারণ ও বেতন ভাতার দাবীতে শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্রীদের মানববন্ধনে হামলা করেছে বহিরাগতরা ৪ শিক্ষক আহত। হামলায় কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক জয়নুল আবেদীনসহ চার শিক্ষক আহত হলে গুরুতর জয়নুল আবেদীনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত বহিরাগত মেহেদীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় থানায় মেহেদীকে প্রধান আসামী করে ছয় জনের নামে মামলা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১ টার দিকে বকুলনেছা মহিলা কলেজের সামনে।
জানাগেছে, অধ্যক্ষ ফোরকান মিয়া ১৯৯৯ সালে আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজে ইসলামী শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক পদে চাকুরি নেন। ২০১০ সালে তিনি ওই কলেজের অধ্যক্ষ হন। এরপর ২০১৩ সালে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ,এর অভিযোগে কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটি তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। ২০২১ সালের ১২ জুলাই মোঃ ফোরকান মিয়া পুনরায় কলেজের অধ্যক্ষ পদে আসিন হন। কলেজের আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে গত বছর নভেম্বর থেকে এ বছর মে মাস পর্যন্ত ৭ মাস কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১ টায় অধ্যক্ষ ফোরকান মিয়ার অপসারণ ও বেতন ভাতার দাবীতে শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্রীরা মানববন্ধনের আয়োজন করে। এ মানবন্ধন চলাকালে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটিতে প্রভাষক জয়নুল আবেদীন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের প্রভাষক বশির উদ্দিন, পদার্থ বিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ ও যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক জলিলুর রহমান আহত হয়। দুপুরে কলেজের প্রভাষক ফেরদৌসী আক্তার বাদী হয়ে মেহেদী, ফোরকান, কবির হোসেন ও জলিলকে আসামী করে ছয় জনের নামে থানায় মামলা করেছে। পুলিশ মেহেদীকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে ফোরকান মিয়া বলেন, আমি মারধর করিনি। উল্টো আমাকে লাঞ্ছিত করেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কাঙ্খিতা মন্ডল তৃণা বলেন, আহত জয়নুল আবেদীনের মুখমন্ডল, চোখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহৃ রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কেএম মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত মেহেদীকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
বরগুনা পুলিশ সুপার আবদুস সালাম বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।

আমতলী-বরগুনা

সর্বশেষ